উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি, রাজ্যের বক্তব্য তিন সপ্তাহের মধ্যে জানতে চায় আদালত

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি তৈরি করে অর্ডিন্যান্স এনেছিল সরকার। সেই অর্ডিন্যান্স নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চাইল হাইকোর্ট। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের বিষয়ে রাজ্যকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বক্তব্য জানাতে হবে।

এরই পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্য সরকার যদি কোনও পদক্ষেপ করে, মামলাকারী সঙ্গে সঙ্গে তা আদালতকে জানাবে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি অজয় গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন সোমবার।

এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, ‘রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে স্বজনপোষণের কোনও জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হয়। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ কমিটির সদস্যপদে রাজ্যের প্রতিনিধি বেশি রাখা হয়েছে। তিনজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে বেআইনিভাবে। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনওরকম স্বজনপোষণ যাতে না হয়, সেই কারণে রাজ্যের হস্তক্ষেপ মানা হয়নি।

এরপরই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মামলাকারীকে প্রশ্ন করেন, ইউজিসি রেগুলেশনে প্যানেলে কতজন থাকবে বলা আছে। কারা থাকবে তা নিয়ে কী ব্যাখ্যা আছে? সার্চ কমিটিতে কোনও শিক্ষাবিদ কেন নেই ? প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের এই প্রশ্নে রাজ্য জানায়, পাঁচজনই শিক্ষাবিদ। ইউজিসির আইন অনুযায়ী সব করা হয়েছে। কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও সার্চ কমিটি তৈরি হয়নি।

নতুন আইনে ৫ জন সদস্যের মধ্যে ৩ জন রাজ্যের নমিনি। বাকি দু’জনের ১ জন চ্যান্সেলর ও অন্যজন ইউজিসির নমিনি।
প্রসঙ্গত, সার্চ কমিটিতে রয়েছেন আচার্য, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি, ইউজিসির প্রতিনিধি, উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি ও উচ্চ শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি।

Previous articleবামফ্রন্টের বিমান রামফ্রন্টের আনন্দ, ২ ফ্রন্টের ২ চেয়ারম্যান ২ বোস! খোঁ.চা কুণালের
Next articleRAW-এর শীর্ষ পদে দুঁদে IPS রবি সিনহা