বামফ্রন্টের বিমান রামফ্রন্টের আনন্দ, ২ ফ্রন্টের ২ চেয়ারম্যান ২ বোস! খোঁ.চা কুণালের

কুণাল ঘোষ রাজ্যপালকে খোঁচা দিয়ে বলেন, "রাজ্যপাল আসলে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফের যে মিলিজুলির চেয়ারম্যান ভাবছেন। বিমান বোস যেমন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান, ঠিক তেমনই রাজ্যপাল রামফ্রন্টের চেয়ারম্যান।

পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (Governor CV Anand Bose) তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের (TMC)। শাসক দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) আগেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বিজেপির ক্যাডারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ফের রাজ্যপালকে নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন কুণাল। এবার তিনি রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে “রামফ্রন্ট” চেয়ারম্যান বললেন। অর্থাৎ, পঞ্চায়েতে বিরোধীদের যে অশুভ আঁতাত, তার সঙ্গে রাজ্যপালের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।

সম্প্রতি, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন তা কড়া হাতে দমন করেছে। কিন্তু বিরোধীদের কথায় রাজ্যপাল অতিসক্রিয় হয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মতো ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকার বিরোধী মন্তব্য করছেন। একতরফাভাবে বিরোধীদের অক্সিজেন দিচ্ছেন। কিন্তু কিছুক্ষেত্রে আক্রান্ত শাসক দলের নেতা-কর্মীরাও, তাঁদের কথা ভাবছেন না রাজ্যপাল। এখানেই তৃণমূলের তরফে রাজ্যপালের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রাজ্যবাসীর কাছে তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে রাজভবনে নজিরবিহীন ভাবে “পিস রুম” খুলেছেন রাজ্যপাল। যা তাঁর এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না বলে অভিযোগ শাসক দলের।

কুণাল ঘোষ রাজ্যপালকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “রাজ্যপাল আসলে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফের যে মিলিজুলির চেয়ারম্যান ভাবছেন। বিমান বোস যেমন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান, ঠিক তেমনই রাজ্যপাল রামফ্রন্টের চেয়ারম্যান। বিমানবাবুর একটু উপরেই উনি। এখন ওনার কাজ বিরোধীদের অক্সিজেন দেওয়া। তৃণমূলের যাঁরা মারা গিয়েছে, তাঁদের বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।”

এখানেই শেষ নয়, আনন্দ বোসকে তীব্র কটাক্ষ করেন কুণালের সংযোজন, “রাজভবনে পিস রুম খুলেছেন। ওনার এটা করার এখতিয়ার নেই। ওটাকে বরং ক্যান্টিন করুন, যেখানে এই চার দলের নেতাদের দুবেলা ডেকে ভাত-ডাল খাওয়াবেন। রাজ্যপালের গর্ব হওয়া উচিত, ৬১ হাজার বুথের মধ্যে দু-চারটে জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে। সেটা আবার বিরোধীরাই করছে। কারণ গণ্ডগোল না পাকালে কোর্টে যাবে কী করে, বাহিনী চাইবে কী করে, বিবৃতি দেবে কী করে। তৃণমূল উন্নয়নের নিরিখে ভোট চাইছে। আর রাজ্যপাল বিরোধীদের হাওয়া দিচ্ছেন। বামফ্রন্টের বিমানদা আর রামফ্রন্টের এই রাজ্যপাল। ভোটে দু-জনকেই আমরা ভরপুর হারাব।”

রাজ্যপালের পোশাক নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন কুণাল। রাজ্য সরকারের টাকা নয়ছয় করছেন এই রাজ্যপাল। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে, রাজভবনে অডিট হওয়া দরকার বলেও মনে করেন তিনি। কুণালের কথায়, “মহামান্য রাজ্যপাল কি নিজের পোশাক, স্যুট, সানগ্লাস, জুতো কিনেছেন সরকারি টাকায়? যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে তা অনৈতিক। তাঁর উচিত, নিজের পোশাক নিজের টাকায় কেনা। সরকার রাজভবনের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করে, তা কোন খাতে খরচ হয়, তার অডিট কার উচিত ঠিকভাবে। যদি এই অভিযোগ ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিতে প্রস্তুত।”

 

 

Previous articleসহযোগিতা নাকি সংঘাত? আমেরিকাকে বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দিল চিন
Next articleউপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি, রাজ্যের বক্তব্য তিন সপ্তাহের মধ্যে জানতে চায় আদালত