লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadev Bhattacharya) কন্যা সুচেতনা ভট্টাচার্য (Suchetana Bhattacharya)। সম্প্রতি একটি ‘LGBTQ+’ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন সুচেতনা।
লিঙ্গ পরিবর্তন করে শরীরের আর মনের একাত্ম হওয়ার ঘটনা আজকের দিনে নতুন কিছু নয়। সরকারি হাসপাতালেও এই পরিষেবা পাওয়া যায়। তবে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যার এই সিদ্ধান্তে তুমুল আলোচনা হবে সেটা জানেন সচেতনা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ। মীরা ভট্টাচার্যের পেসমেকার বসেছে।
লিঙ্গ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় আইনি সহায়তার। সেই মতো আইনি পরামর্শও নিতে শুরু করেছেন সুচেতনা। প্রয়োজনীয় শংসাপত্রের জন্য যোগাযোগ করেছেন মনোবিদের সঙ্গে।
ওই কর্মশালায় যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে সুচেতনা লেখেন, ‘‘পিআরসি-র ৮০তম প্রতিষ্ঠা বছর উদ্যাপন উপলক্ষে ১০ জুন, ২০২৩ অ্যাকশন টু হেল্থ অফ দ্য এলজিবিটিকিউ+কমিউনিটি ওয়ার্কশপে যোগদান করে আমি খুবই গর্বিত ও আনন্দিত। ওয়ার্কশপে প্রতিটি আলোচনার বিষয় সুচিন্তিত এবং প্রাসঙ্গিক। এলজিবিটিকিউ+ মানুষের অধিকার ও সমস্যা নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম, যা আমার মতো ট্রান্সম্যানকে সমৃদ্ধ করেছে, উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।’’ তথাকথিত সমাজের ‘মূলস্রোত’-এর চোখরাঙানি, উপহাস, ঘৃণা উপেক্ষা করে যাঁরা লড়াই করছেন, তাঁদের কুর্নিশ জানিয়েছেন সুচেতনা। এই ধরনের কর্মশালা আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন পিআরসি-কে। বিবৃতিটির নীচে সুচেতনা লিখেছেন, ‘সুচেতন ভট্টাচার্য ওরফে (অ্যালিয়াস) সুচেতনা ভট্টাচার্য’।
একজন অত্যন্ত পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা হিসেবে সুচেতার এই সাহসী ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, যথেষ্ট মনের জোর এবং লড়াইয়ের মানসিকতা থাকলে তবেই এই ধরনের পদক্ষেপ করা যায়। সচেতনার মতো মানুষ পাশে থাকলে, তাঁদের সংগ্রাম কিছুটা মসৃণ হবে বলে মনে করছেন এলজিবিটিকিউ+ আন্দোলনকারীরা।