পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার্শ্বশিক্ষক-মেডিক্যাল অফিসারদের নিয়োগে ‘না’, স্পষ্ট নির্দেশ কমিশনের

তবে কী কারণে কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে এখনও অবধি স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

পার্শ্ব শিক্ষকদের (Para Teacher) চতুর্থ নির্বাচনী অফিসার (Polling Officer) হিসেবে নিয়োগ করা চলবে না। সেই সঙ্গে বাদ রাখতে হবে মেডিকেল অফিসারদের (Medical Officer)। ৮ জুলাই গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা, স্ক্রুটিনি ও প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি তুঙ্গে প্রশাসনিক স্তরে। নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতির মধ্যে এবার ভোটকর্মী সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২০ জুন রাজ্য নির্বাচনের অতিরিক্ত সচিব রাজ্যের ২২টি জেলার জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিকের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী প্যারা টিচার বা প্রাথমিক শিক্ষক ও মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটগ্রহণের কাজে ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশিকায় সাফ জানানো হয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে বিভিন্ন জেলায় প্যারা টিচার বা প্রাথমিক শিক্ষকদের ফোর্থ পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এমনকী মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে। আর তা দেখেই কমিশনের সাফ নির্দেশ, প্যারা টিচার বা প্রাথমিক শিক্ষকদের ফোর্থ পোলিং অফিসার পদে নিয়োগ করা যাবে না এবং যেখানে যেখানে মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের সেই দায়িত্ব থেকে দ্রুত অব্যহতি দিতে হবে। তবে কী কারণে কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে এখনও অবধি স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

প্রাথমিক শিক্ষক ও মেডিক্যাল অফিসারদের নির্বাচনের কাজে নিয়োগ করা হতে পারে, সেই নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। সম্ভবত সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্টভাবে নির্দেশিকা জারি করা হয়ে থাকতে পারে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সাধারণভাবে মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা হয় না।

 

 

Previous article৬ জেলায় ২ কোম্পানি, ১৬ জেলায় ১ কোম্পানি, পঞ্চায়েতে মোতায়েন ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
Next articleট্রেন থেকে সোজা প্ল্যাটফর্মে ছিটকে পড়লেন যুবক! তারপর..?