ভারতে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের (The fourth pillar of democracy in India) উপর ক্রমাগত প্রভাব খাটিয়ে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (BJP)। সংবাদপত্রের বাক স্বাধীনতায় বারবার হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় মোদির (Narendra Modi) দলদাস হয়ে না চলতে পারলে গণমাধ্যমের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। এবার মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ঘটতে থাকা এই ঘটনার নিন্দায় সরব বিদেশের এক স্বনামধন্য পত্রিকা। বুধবার ওয়াশিংটন পোস্ট (Washington Post) পত্রিকায় পাতাজুড়ে এক সাদা-কালো বিজ্ঞাপনও প্রকাশিত হয়েছে। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের ৮ টি সংগঠন যৌথভাবে এই বিজ্ঞাপন দিয়েছে।
ভারতে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ নিয়ে জেলবন্দি ৬ জন লেখক, সাংবাদিকের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, তবুও এটি মিডিয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলির মধ্যে একটি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ক্রমবর্ধমান হুমকির মধ্যে রয়েছে। সেক্ষেত্রে সাংবাদিকদের হয়রানি, জাল মামলা এবং সামাজিক মিডিয়াতে ঘৃণার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।” যে আটটি সংগঠন বিজ্ঞাপন দিয়েছে সেই তালিকায় আছে, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (CPJ), ভিয়েনা স্থিত ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট, ইন্টান্যাশনাল উওম্যানস মিডিয়া ফাউন্ডেশন (Washington), জেমস ডব্লিউ ফলে লিগ্যাসি ফাউন্ডেশন , দ্য ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব (The National Press Club, Washington), রিপোর্টার্স কমিটি ফর ফ্রিডম অব প্রেস (ভার্জিনিয়া), ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ নিউজপেপার অ্যান্ড নিউজ পাবলিশার্স (ফ্র্যাঙ্কফুর্ট, জার্মানি), রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (প্যারিস)।
এই বিজ্ঞাপনে সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার আবেদন করে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, যে গণমাধ্যমের মুক্ত থাকার উপরই গণতন্ত্র নির্ভর করে। মোদির আমলে গণতান্ত্রিক ভারতের উদ্বেগজনক অবনতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নীরব থাকা উচিত নয় বলেই সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মোদি জমানায় গণতন্ত্রের অবনতি, মুসলমান ও অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের বিষয়টি নিয়ে যে পাশ্চাত্যের দেশও চিন্তিত তা বেশ স্পষ্ট। আসলে বিজেপি যতই মিথ্যে প্রচার করুক না কেন মোদির আসল রূপ বিশ্বের বাকি দেশের রাজনৈতিক ও সমাজ সচেতন মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেছে।