পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শিয়ালদহ স্টেশনে অভিনব প্রচারে তৃণমূল

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শিয়ালদহ স্টেশনে থেকে অভিনব প্রচার শুরু করল তৃণমূল। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল এবং সন্ধ্যায় চলবে এই প্রচার অভিযান।এদিন সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ শানান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী।রাজ্যপাল সিভি আনন্দের রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ প্রসঙ্গে কুণাল এদিন বলেন, বিজেপির দালাল সিভি আনন্দ বোসকে বাংলার বুকে বরদাস্ত নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেমন জেলায় জেলায় গ্রামে গ্রামে প্রচার হবে, ঠিক তেমনই শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন দিয়ে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন, তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়া শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, তৃণমূল ভরসা।



আরও পড়ুন:বেনজির সাংবিধানিক সঙ্কট: গভীর রাতে রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল!

পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির ঘটনায় কুণাল বলেন, তৃণমূল অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট চায়। রাজ্যের ৬১ হাজার বুথে ৬-৭টি জায়গায় বিরোধীরা গণ্ডগোল পাকাছে। যেখানেই তারা জিততে পারবে না ভাবছে সেখানেই অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করছে তারা। আমরা আদালতকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু কোনও কোনও বিচারপতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিছু সিদ্ধান্ত নেন, বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট হয় তাহলে তৃণমূলের একজন সৈনিক হিসেবে প্রতিবাদ করব।আপনারা হৃদয় দিয়ে, অনুভূতি , অভিজ্ঞতা দিয়ে ভোট দিন।

অন্যদিকে এদিন বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী বলেন, বিরোধীরা কুৎসা করবে, ব্যক্তি আক্রমণ করবে, আমাদের হাতিয়ার উন্নয়ন। এই পঞ্চায়েত নির্বাচন আগামীর লোকসভা ভোটের দিশা দেখাবে। আমাদের অঙ্গীকার নিতে হবে পঞ্চায়েতে প্রতিটি ভোট তৃণমূলে যাবে। বাংলার মানুষের আবেগ, আস্থার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী, ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স বিরোধীদের হাতিয়ার হলে আমাদের অস্ত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬৭টি প্রকল্প আছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তাবড় নেতারা এসেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিংহাসনচুত্য করতে পারেননি।
কুণাল এদিন প্রশ্ন তোলেন, বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, ত্রিপুরায় নয় কেন? তৃণমূল কংগ্রেস চ্যালেঞ্জ করে বলছে বাড়ি বাড়ি ভোট দিলেও পঞ্চায়েতে জিতবে তৃণমূল। কারণ, মানুষ জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী উন্নয়ন করেছেন। করোনাকালে নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশকে ডুবিয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে বাঁচিয়েছেন। দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানে করোনার পর মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ২০২৪ বিকল্প সরকার আসছে। পাটনায় বিরোধীদের জোট। এমনভাবে ভোট দিন যাতে ২০২৪ সালের লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন হাওয়াই চপ্পল পায়ে বাংলার তাঁতের শাড়ি পড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের প্রচারের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন অয়ন চক্রবর্তী এবং শচীন সিং । কুণাল ঘোষ, সোহম চক্রবর্তী ছাড়াও প্রচারে উপস্থিত ছিলেন ঋজু দত্ত, শক্তিপ্রতাপ সিং, আলোক দাস ছাড়াও আরও অনেকে।

Previous articleদক্ষিণবঙ্গে স্বস্তির বৃষ্টিতে বজ্রাঘাতে জেলায় জেলায় মৃ*ত্যু
Next articleমুখ পুড়ল বিজেপির! খু*ন নয় আত্মহ*ত্যাই করেছেন রায়নার বিজেপি কর্মী, দাবি সিবিআইয়ের