রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট ও এরিায়র বাবদ যাবতীয় বকেয়া প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে। বিভিন্ন জেলার স্কুল পরিদর্শকদের এই মর্মে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বকেয়া নিয়ে কোনও মামলা থাকলে দ্রুত তার নিষ্পত্তিও করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে
সবমিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা উপকৃত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

শিক্ষা দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩ বছরের কম সময় বকেয়া অর্থ সরাসরি জেলা স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকরা দিয়ে দিতে পারবেন। তবে তার থেকে পুরনো বকেয়া দফতরের কাছে পাঠাতে হবে। সেখান থেকে টাকা মেটানো হবে। এই বকেয়া মেটাতে সরকারের ১০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

জানা গেছে অনেক সময় শিক্ষকরা নিয়োগ পাওয়ার পরও তাদের চাকরির অনুমোদন পেতে দেরি হয়। আর সেই অনুমোদন না পাওয়ার জন্য বেতন পেতে দেরি হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। শুধু তাই নয় বকেয়া অবশ্য আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে হতে পারে। চাকরিতে যোগদানের পর বিএড ডিগ্রি করলে একটি ইনক্রিমেন্ট পেতেন শিক্ষকরা। পাশাপাশি ১৮ বছর চাকরির শেষে একটি ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়। আবার পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার বা প্রধান শিক্ষক হওয়ার পরেও একটি বাড়তি ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্য হয়। সেসব পেতেও অনেক সময় দেরি হয়ে যায়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষকরা মামলাও করেন। সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ভোটে আগে এই নির্দেশিকাকে অবশ্য নির্বাচনী কৌশল হিসাবে দাবি করছেন কেউ কেউ। যদিও স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের দাবি, এই নির্দেশিকা জারির মাধ্যমে আদর্শ আচরণবিধি ভাঙ্গা হয়নি। ট্রেজারিতে এই ধরনের নির্দেশিকা বহুদিন আগে থেকেই রয়েছে।

আরও পড়ুন- রবিবার থেকে সময় সূচিতে বদল নর্থ-সাউথ মেট্রোর
