এখানে ট্রেলার দেখালাম, বাকি সিনেমা দিল্লিতে দেখাব: হুঙ্কার অভিষেকের

পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বেরিয়ে রোড শো-র (Road Show) শেষে বারাবনিতে পথসভা থেকে হুঙ্কার দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জনসমুদ্রে ভেসে রোড শো করার পরে, অভিষেক বলেন, আজ ট্রেলার দেখালাম, বাকি সিনেমা দিল্লিতে দেখাব। যে লড়াই বাংলার বুক থেকে শুরু হয়েছে, সেটা আগামী দুমাস পরে দিল্লিতে চূড়ান্ত রূপ পাবে। বাংলার থেকে ১০লক্ষ লোক নিয়ে গিয়ে বাংলা বকেয়া আদায় করে আনবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

এদিন বারাবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো-এ জনপ্লাবন। যেখানে ব়্যালি থামিয়ে অভিষেক বক্তব্য রাখেন সেখান থেকে রাস্তায় যেদিকেই চোখ যায়, শুধু মানুষের মাথা। সেদিকে তাকিয়েই অভিষেক বলেন, এবার পদ্মফুল চোখে সর্ষেফুল দেখবে। ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজননা বাংলার বকেয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এর আগে গিয়েও কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে গিয়ে দাবি জানিয়ে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দল। এবার সারা বাংলা থেকে চিঠি সংগ্রহ করছে অভিষেক। এককোটি চিঠি আর ১০ লক্ষ মানুষ নিয়ে দিল্লি নিয়ে বাংলার বকেয়া আদায়ে আন্দোলন করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “আপনাদের নিয়ে যাওয়ার সব দায়িত্ব আমার। আপনাদের শুধু যেতে বলেন।“ এরপরেই জনজোয়ারের দিকে তাকিয়ে অভিষেক বলেন, “আজ এখানে ট্রেলার দেখালাম, বাকি সিনেমা দিল্লিতে দেখাব।“

কয়েকদিন আগেই দুমাস ধরে সারা বাংলা চষে ফেলেছেন অভিষেক। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপে বাংলার কোণায় কোণায় পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক। সেখানেই প্রতি পঞ্চায়েতে অভিনয় ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করেন তিনি। তৃণমূলের প্রার্থী কে হবেন, তা নির্বাচন করেন দলের কর্মী-সমর্থকরাই। সে কথা উল্লেখ করে এদিন অভিষেক বলেন, “যে তৃণমূল প্রার্থীকে পঞ্চায়েত ভোটে দিয়ে ভোট দিয়ে আপনারা জেতাবেন, তিনি আপনাদেরই পছন্দের প্রার্থী। আপনারাই তাঁদের বেছে ছিলেন।“

নরেন্দ্র মোদিকেও তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। শুক্রবার বারাবনির রোড শো ভোটে প্রচারে বিজেপিকে তুলোধোনা করার পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেন তিনি। বলেন, ”এখানকার সবচেয়ে বড় চোরের নাম জিতেন্দ্র তিওয়ারি! এখন বিজেপির আশ্রয়ে গিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর নরেন্দ্র মোদি বলেন, তিনি চোর ধরবেন। কোথায় ধরছেন? তাহলে তো জিতেন্দ্র, শুভেন্দু সকলেরই জেলে থাকার কথা।” একই সঙ্গে অভিষেক বলেন, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন যাঁদের নামে অভিযোগ করে চিঠি লিখলেন, সেই হিমনন্ত বিশ্বশর্মা ও শুভেন্দু অধিকারীকে বড় পদ দিয়েছেন মোদি। তিনি কী নজর রাখছেন! তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।

 

Previous articleদলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে শতাব্দীর রোড-শো! উপচে পড়ল ভিড়
Next articleঅভিযোগের মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই অ.পহৃত শিশুকে উ.দ্ধার চুঁচুড়া থানার পুলিশের