বাংলা নয়, ইংরাজি মাধ্যমে পাশ করলেই মিলবে ‘অ্যাডমিশন’: বি.তর্কিত ফতোয়া লরেটো কলেজের!

স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য যে সাতটি বিষয়ের মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিটিতেই লেখা আছে, ‘লরেটো কলেজের পড়াশোনার মাধ্যম হল কেবলমাত্র ইংরেজি। আর সেকারণেই পরীক্ষায় শুধুমাত্র ইংরেজিতে উত্তর দিতে হবে।

বাংলা (Bengali) নয়, ইংরাজি (English) মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary) পাশ করলে তবেই করা যাবে আবেদন করা যাবে কলেজে। হ্যাঁ, স্নাতকস্তরে (Graduation) পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে এবার এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করল কলকাতার লরেটো কলেজ (Loreto College)। আর আচমকা এমন নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছে কলকাতার ওই অভিজাত কলেজ। তবে বাংলা মাধ্যমকে বাদ দিয়ে কেন ইংরাজিকে এত বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ওই স্কুল তাও পরিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছে কলেজটি।

জানা গিয়েছে, স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য যে সাতটি বিষয়ের মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিটিতেই লেখা আছে, ‘লরেটো কলেজের পড়াশোনার মাধ্যম হল কেবলমাত্র ইংরেজি। আর সেকারণেই পরীক্ষায় শুধুমাত্র ইংরেজিতে উত্তর দিতে হবে। আঞ্চলিক বাংলা এবং হিন্দি ছাড়া অন্য সব বিষয়ের জন্য আমাদের লাইব্রেরিতে শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষায় সহায়িকা বই, পাঠ্যবই এবং জার্নাল আছে। এরপরই কলেজের পরামর্শ, যে পড়ুয়ারা আঞ্চলিক ভাষার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তাঁরা যেন এমন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেন, যেখানে পড়াশোনার মাধ্যম হল শুধুই  ইংরেজি। পাশাপাশি কলেজের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেইসব পড়ুয়াদের অ্যাডমিশনের জন্য বিবেচনা করা হয়নি, যাঁদের দ্বাদশ শ্রেণিতে যাদের পড়াশোনার মাধ্যম আঞ্চলিক ভাষায় ছিল। এরপরই লরেটো কলেজের তরফে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বাংলাতে থেকেও কেন বাংলার প্রতি এত বিদ্বেষ? তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠতে শুরু করেছে বিস্তর প্রশ্ন। বাংলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েও কীভাবে এমন বিজ্ঞপ্তি এই কলেজ দিতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

তবে এমন সিদ্ধান্তে কলেজের পাশেও দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, লরেটো কলেজ কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা বাস্তবসম্মত। যে পড়ুয়ারা বাংলা মাধ্যমে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে এসেছেন, তাঁদের ইংরেজি মাধ্যমে কলেজে সমস্যা হতে পারে। আর সেকারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও লরেটো কলেজের ওয়েবসাইটে দেখা গিয়েছে, যে ‘এলজিবিটি’ বিভাগ আছে, তাতে সেই বিষয়টির উল্লেখ করা হয়েছে। সেই বিভাগের শুরুতেই বলা হয়েছে যে, সেইসব পড়ুয়াদের অ্যাডমিশনের জন্য বিবেচনা করা হয়নি, দ্বাদশ শ্রেণিতে যাদের পড়াশোনার মাধ্যম আঞ্চলিক ভাষায় ছিল।

 

 

 

Previous articleলর্ডসে হে.নস্থা অজি ক্রিকেটাররা, ব‍্যবস্থা নিল এমসিসি
Next articleদুর্নীতিগ্রস্তরাই বিজেপির সম্পদ: NCP’র ভাঙন নিয়ে মোদিকে তোপ অভিষেকের