NCP-তে ভাঙনে প্রভাব নেই বিরোধী জোট-বৈঠকে: নয়া দিন ঘোষণা করে জানাল কংগ্রেস

আগামী লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে পরিবর্তনের লক্ষ্যে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার রণকৌশলকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে বিজেপি-বিরোধী জোট।

মহারাষ্ট্র মহানাটকের জেরে পিছতে পারে বিরোধী জোট-বৈঠক- এই জল্পনা য়খন রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে তখনই নয়া দিন ঘোষণা করে কংগ্রেস বার্তা দিল NCP-র ভাঙনের প্রভাব পড়েনি BJP-বিরোধী জোটে। ১৭ ও ১৮ তারিখ- ২দিন ধরে বৈঠক হবে বেঙ্গালুরুতে। জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা জয়রাম রমেশ (Jayram Ramesh)।

পাটনায় বিরোধীদলের প্রথম বৈঠকের পর জানানো হয়, পরের বৈঠক হবে সিমলায়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে ১২ জুলাই বৈঠকের দিন স্থির হয়েছে। কিন্তু পরে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার জানান, ১৩-১৪ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলের বৈঠক হবে। কিন্তু হঠাৎ কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশের বদলে আরেক কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে কেন বৈঠকের স্থান নির্বাচন করা হল? সূত্রের খবর, আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। কারণ, হিমাচল প্রদেশে বন্যা পরিস্থিত ভয়াবহ হচ্ছে। ভরা বর্ষায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এই আশঙ্কায় বৈঠকের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। শৈল শহরের বদলে বেঙ্গালুরুতেই বৈঠক করা হবে।

কিন্তু এর পরেই রবিবার মহারাষ্ট্রে এনসিপিতে ভাঙনের পরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, কেন্দ্র-বিরোধী জোট ধাক্কা খেল। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল, কংগ্রেস, জেডিইউ, আরজেডি, সপা-সহ ১৫ টি দল মিলে যে জোটের প্রস্তুতি শুরু করেছিল তা আর পূর্ণতা পাবে না। এই জল্পনার মধ্যেই জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী জানান, বিরোধী জোটের বৈঠক পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে, শেষে সব জল্পনায় জল ঢেলে সোমবার দুপুরে টুইট করেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। লেখেন, “মহারাষ্ট্রে বিজেপি ওয়াশিং মেশিন চালু হয়েছে গতকাল। তার ডিটারজেন্টের নাম IEC ( Income Tax, ED, CBI)। বিজেপির থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এর পরই অনেকে বলতে শুরু করেছিলেন যে বিরোধী ঐক্য ধাক্কা খেল। কিন্তু তাঁরা জেনে হতাশ হবেন, পাটনা পরবর্তী বৈঠক বেঙ্গালুরুতে। ১৭ ও ১৮ জুলাই- দুদিন ধরে হবে বৈঠক।”

আগামী লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে পরিবর্তনের লক্ষ্যে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার রণকৌশলকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে বিজেপি-বিরোধী জোট। ২৩ জুন পাটনায় নীতীশ কুমারের বাসভবনে প্রথম বৈঠকে এই বিষয় নিয়েই প্রধানত চর্চা হয়। এই বৈঠকের শেষেই পরবর্তী বৈঠকের কথা সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়। কিন্তু এর মধ্যেই এনসিপি-তে ভাঙনে জোটের উপর প্রভাব ফেলবে বলে জল্পনা শুরু হয়। জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগীর কথায়, এনসিপি-তে ভাঙনে বৈঠকে প্রভাব ফেলবে বলে ধারনা হয়। শুধু তাই নয়, জেডিইউ নেতার মতে, এরপরে বাদল অধিবেশন রয়েছে। তারপরেই হবে, বিজেপি-বিরোধী জোটের বৈঠক। কিন্তু এর পরেই নিজেদের মধ্যে কথা বলে জোট প্রক্রিয়ায় থাকা নেতৃত্ব। এখন বৈঠক পিছলে ভুল বার্তা যেতে পারে, সেই কারণেই ১৭ ও ১৮ জুলাই বৈঠক হবে।

 

 

Previous articleএবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন বেধে দিলেন রাজ্যপাল
Next articleশহরে পা রাখলেন আর্জেন্তাইন বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ