এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন বেধে দিলেন রাজ্যপাল

হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন প্রক্রিয়া চালাতে হবে। ৪৮ ঘণ্টা আমি অপেক্ষা করব। কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় দেখব। যা ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার রিপোর্ট কার্ড মানুষ দেবে।

এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন বেধে দিলেন সিভি আনন্দ বোস।তিনি বলেন, সুষ্ঠু ভোটের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করানো। হিংসার দুঃখজনক অধ্যায় শেষ হওয়া উচিত। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন প্রক্রিয়া চালাতে হবে। ৪৮ ঘণ্টা আমি অপেক্ষা করব। কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় দেখব। যা ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার রিপোর্ট কার্ড মানুষ দেবে।

সোমবার সকালেই কোচবিহার থেকে কলকাতা পৌঁছে রাজভবন যাননি রাজ্যপাল৷পদাতিক এক্সপ্রেসে শিয়ালদহ পৌঁছে সোজা চলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে খুন হয়েছেন যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা। রবিবার কোচবিহার থেকে ফেরার পথে পদাতিক এক্সপ্রেসেই ফোনে নিহত যুব তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। যে অঞ্চলে জিয়ারুল খুন হয়েছেন সোমবার সেই এলাকায় পরিদর্শন করার পাশাপাশি এলাকার গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলার পরে নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে না গেলেও পরে নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যদের ক্যানিংয়ে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল।পাশাপাশি, ৪০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যও জিয়ারুলের পরিবারের হাতে তুলে দেন। তারপরেই প্রাক পঞ্চায়েত হিংসা প্রসঙ্গে সরব হন তিনি৷

এদিন রাজ্যপাল কড়া ভাষায় বলেন,  মানুষের রক্তে রাজনৈতিক হোলি দুর্ভাগ্যজনক। এলাকায় গিয়ে আমি পরিস্থিতি দেখেছি। কে হিংসা ছড়াচ্ছে সেটা বড় কথা নয়, মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এটাই বড় বিষয়। হিংসার দুঃখজনক অধ্যায় শেষ হওয়া উচিত।” আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কড়া মন্তব্য করার পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি৷ বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের উচিত সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করানো।

Previous articleদম হ্যায় তো রোখকে দিখাও: বকেয়া আদায়ে মোদিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
Next articleNCP-তে ভাঙনে প্রভাব নেই বিরোধী জোট-বৈঠকে: নয়া দিন ঘোষণা করে জানাল কংগ্রেস