“প্রতীচী” থেকেই বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক দাবি করলেন অমর্ত্য সেন

বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপক ও বেশকিছু পড়ুয়া নোবেলেজয়ীর সঙ্গে দেখা করে জমি বিতর্কে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেন। অমর্ত্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান।

বিশ্বভারতীর সঙ্গে এখনও মেটেনি জমি বিবাদ। মাত্র ১৩ ডেসিমাল জমি নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। এবং তার জন্যই বারে বারে উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। বলা চলে, বাংলা তথা দেশের কৃতি সন্তান নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে নূন্যতম সম্মানটুকু দিচ্ছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনঃএক্তিয়ার ছাড়াচ্ছেন রাজ্যপাল! রবীন্দ্রভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ, ক্ষো.ভ সর্বত্র

সেই প্রসঙ্গে আবার মুখ খুললেন খোদ অমর্ত্য সেন। বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে নিশানা করে জানালেন, তাঁকে “অপমান” করা খুব সহজ নয়। শান্তিনিকেতনের “প্রতীচী” বাড়িতে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ও বেশকিছু পড়ুয়া নোবেলেজয়ীর সঙ্গে দেখা করে জমি বিতর্কে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেন। অমর্ত্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান।

অমর্ত্য সেনের কথায়, “এই বাড়িতে আমি থেকেছি ৮০ বছর। এখন উপাচার্য বলছেন, এ বাড়ি তোমার নয়। সেটা নিয়ে আমার আফসোস করার কারণ কিছু থাকতে পারে। তার পরে উনি বললেন, এই বাড়ির কিছু অংশ তোমার হতে পারে, বাকি নয়। এটা একটা বড় শিক্ষা। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, সমস্ত পৃথিবী আমাদের নিজেদের জিনিস। এটা ভুল হতে পারে। কিন্তু, এর মধ্যে একটা সত্যতা ঠিকই আছে। সমস্ত পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের যে সর্বাঙ্গিক যোগ, এর মধ্যেও একটা বড় সত্য আছে।” পাশাপাশি নোবেলজয়ী অমর্ত্য দাবি করেন, বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

Previous articleএক্তিয়ার ছাড়াচ্ছেন রাজ্যপাল! রবীন্দ্রভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ, ক্ষো.ভ সর্বত্র
Next articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস