নন্দীগ্রামে উঠল ‘চোর চোর’ স্লোগান! কনভয়ে বসেই চটে লাল দলবদলু শুভেন্দু

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন যে জায়গায় কুণালের সভা হচ্ছিল সেখান দিয়েই যাচ্ছিল শুভেন্দুর কনভয়।

বৃহস্পতিবারই ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) শেষ দিনের প্রচার। আর শেষ দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচারে ঝড় তোলেন তৃণমূল প্রার্থীরা (TMC Candidates)। সেইমতো এদিন নন্দীগ্রামেও (Nandigram) চলছিল শেষবেলার প্রচার। আর সেই প্রচারকে কেন্দ্র করেই অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) বিরুদ্ধে। এদিন তৃণমূলের শেষবেলার প্রচার চলাকালীন গায়ের জোরে সেখানে ঢুকে পড়েন শুভেন্দু। জোর করে তৃণমূলের প্রচার ভঙ্গের কারণেই সেখানে আচমকা এসে পৌঁছয় বিরোধী দলনেতার কনভয় (Convoy)। শুভেন্দুকে দেখা মাত্রই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার স্থানীয় মানুষজন। প্রচার চলাকালীন জোর করে কনভয় নিয়ে বিঘ্ন ঘটানোর প্রতিবাদে ‘চোর চোর স্লোগান ওঠে’। এরপরই রাগে গাড়ির জানলা থেকে মুখ বের করে বিক্ষোভকারীদের পাল্টা কিছু একটা বলতেও দেখা যায় শুভেন্দুকে।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন যে জায়গায় কুণালের সভা হচ্ছিল সেখান দিয়েই যাচ্ছিল শুভেন্দুর কনভয়। আর কনভয় দেখা মাত্রই স্থানীয়রা একেবারে মাইক হাতে চোর চোর স্লোগান দিতে শুরু করেন। বিষয়টি নজরে আসতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতে দেখা যায় দলবদলুকে। চলন্ত গাড়ি থেকেই এরপর স্লোগান দিতে থাকা স্থানীয়দের উদ্দেশে অশালীন শব্দ প্রয়োগ করতে দেখা যায় গদ্দারকে।

তবে দলবদলু বিজেপি নেতার অশালীন শব্দের প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। তাঁরাও পাল্টা শুভেন্দুকে পাগল, ছাগল সহ একাধিক কটূক্তি করেন। এরপর কিছুক্ষণের জন্য শুভেন্দু অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। পরে পুলিশ নিরাপদে শুভেন্দুর কনভয়কে ওই জায়গা থেকে বের করে দেয়। এরপর তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের সভা নির্ধারিত সময়ে শেষ করে। সূত্রের খবর, এদিন বিকেলে নন্দীগ্রাম বাইপাস হয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু। সেই সময় ওই এলাকায় সভা করছিলেন মদন মিত্র, কুনাল ঘোষ, বাপ্পাদিত্য গর্গ, ঋজু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। এরপর গাড়ি আসতে দেখেই শুভেন্দুর গাড়ি লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগান ওঠে। আর কথা কানে আসার পরই কমে যায় শুভেন্দুর গাড়ির গতি। মেজাজ হারান শুভেন্দু। তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে হাত দেখিয়ে বলেন, সবাইকে সোজা করে দেব।

 

 

Previous articleঅভিষেকের সঙ্গে SSKM থেকে বাড়ি ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleখারিজ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ! হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে কমিশন