Friday, November 14, 2025

লক্ষীবারে জমজমাট পঞ্চায়েতের শেষ প্রচার, শিরোনামে নন্দীগ্রাম!

Date:

Share post:

শেষ হল পঞ্চায়েতের প্রচার (Panchayet Campaign)। লক্ষীবারে একে অপরকে টেক্কা দিতে ব্যস্ত শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলি। এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। শেষ দিনে ৯৬ জনকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এর মধ্যে রয়েছেন হুগলির ১৭ জন, পূর্ব মেদিনীপুর ২২ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর ২২ জন, নদিয়ার ৫ জন, ঝাড়গ্রাম ২১ জন, মুর্শিদাবাদ ৪ জন, বীরভূম ৬ জন। বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৩০ জন কর্মীকে বহিষ্কার করেছে শাসক দল। তৃণমূল (TMC)নেতৃত্বের তরফে এদিন একটি তালিকা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, কোন জেলা থেকে কত জন কর্মীকে তাঁরা দল থেকে সাসপেন্ড করছেন। নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে।

আগামী শনিবার রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু কোন বুথে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)মোতায়েন ঘিরে এত জটিলতা তৈরি হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট প্রচারের শেষ দিনে ফের তা বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি জানিয়েছেন, অতীতেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে এবং তাতে তৃণমূলের জয় আরও বড় হয়েছে। এদিন প্রচারের শিরোনামে উঠে এল নন্দীগ্রাম। সেখানে বাজার মোড়ে চলছিল তৃণমূলের প্রচার সভা। উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের (Nandigram)বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)এবং দলের অন্যান্যরা। হঠাৎই সেখানে এসে পৌঁছল নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়। বিরোধী দলনেতার গাড়ি সামনে আসতেই “চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা” বলে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। শুভেন্দুকে দৃশ্যতই বিরক্ত হতে দেখা যায়।

 

কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ রাজ্যের সব জেলায় জেলায় আজ জমজমাট প্রচার। উত্তর থেকে দক্ষিণে তৃণমূল, বিজেপি, বাম কংগ্রেস, ISF এবং নির্দল প্রার্থীদেরও ভোট প্রচার করতে দেখা যায়। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে একের পর এক মৃত্যুর খবর এসেছে। শেষদিনে দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সব মিলিয়ে ২৭ দিনে মোট ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

 

 

spot_img

Related articles

শিশু দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা মমতা – অভিষেকের, নেহরুর জন্মদিন উপলক্ষেও শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর 

শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসে (Childrens Day) শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা...

তেজস্বীর নয়া ইনিংস নাকি নীতীশের কামব্যাক, বিহারের রায় আজ

২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভা (Bihar Assembly Election Result) কার দখলে থাকবে তা জানতে সকাল ৮টা থেকে শুরু...

সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার RG Kar আন্দোলনের ‘বিপ্লবী’ ডাক্তার

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে। ঘটনায় গ্রেফতার বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের...

আন্দুল রোডে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! ভস্মীভূত দুই স্পঞ্জ কারখানা 

রাতের হাওড়ায় ভয়াবহ আগুনে কার্যত ছারখার হয়ে গেল আন্দুল রোডের পাশে হাঁসখালি পোল এলাকার দুটি স্পঞ্জ তৈরির কারখানা।...