‘নাটক’ বিফলে! ভোটের দিন নিজের এলাকাতেই থাকতে হবে শুভেন্দুকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। এদিন দুপুরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলা ওঠে। শুভেন্দু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ করে মামলা করেন।

শুক্রবার সকালেই নাটক করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari)। আর দিন গড়াতেই দেখা গেল নাটক করে লাভের লাভ কিছুই হল না। উল্টে হাইকোর্টের রায়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে মুখ পুড়ল দলবদলু বিরোধী দলনেতার। শুক্রবার হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, ভোটের দিন অর্থাৎ শনিবার নন্দীগ্রামের বাইরে কোনওমতেই যেতে পারবেন না শুভেন্দু। এদিন সকালেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে মহানাটক করতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল সকাল থেকে লম্ফঝম্প করেও লাভের লাভ কিছুই হল না।

শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। এদিন দুপুরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলা ওঠে। শুভেন্দু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ করে মামলা করেন। তবে সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর এদিন বিচারপতি সিনহা শুভেন্দুর আর্জি খারিজ করে দেন। কমিশনের নির্দেশ ছিল, নির্বাচনের দিন শুভেন্দু যেখানকার ভোটার সেখানেই তাঁকে থাকতে হবে। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেই মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি সিনহা জানিয়ে দেন, কমিশনের নির্দেশ মেনে নিজের এলাকা ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা যেখানকার ভোটার সেখানেই ভোটের দিন থাকতে হবে। যেহেতু শুভেন্দু নন্দীগ্রামের ভোটার, ফলে সেখানেই থাকতে হবে তাঁকে। পাশাপাশি এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়, এই নিয়ম সব রাজনৈতিক নেতাদের জন্য বলবৎ থাকবে। সে কারণে শুধু শুভেন্দুই নয় সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিন শুনানি চলাকালীন কমিশনের আইনজীবী জিষ্ণু সাহা বলেন, সব রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এটা প্রযোজ্য। প্রার্থী যেতে পারেন। কিন্তু অন্য কোনও রাজনৈতিক নেতা তাঁর এলাকার বাইরে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনেও একই নিয়ম। অন্যদিকে, শুভেন্দুর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার বলেন, কাঁথি থানা নোটিস দিয়েছে উনি যেখানে ভোটার নন, সেখানে যেতে পারবেন না। বিরোধী দলনেতার অনেক কাজ থাকে। কোনও কর্মী মার খেলে তাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়। এরপরই বিচারপতি জানতে চান, কেন কাঁথি থানা এই নোটিশ দিল? উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, বেশিরভাগ সময়ই কাঁথিতে থাকেন শুভেন্দু। আর সেকারণেই কাঁথি থানার আইসি এই নোটিস দিয়েছেন। এরপরই বিচারপতি সিনহা জানিয়ে দেন, কমিশনের নির্দেশই বহাল থাকবে।

 

 

 

Previous articleপ্রধানমন্ত্রীকে অবমাননাকর মন্তব্য দেশদ্রোহিতা নয়: জানালো কর্ণাটক হাইকোর্ট
Next articleপ্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে গিয়ে দুর্ঘ.টনায় মৃ.ত ৩