গেরুয়া শিবিরের সব অপচেষ্টা উড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলিতে (Hooghli) তৃণমূলের জয়জয়কার। মঙ্গলবার, সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন ভোট গণনা কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়। আর যত বেলা গড়িয়েছে তাতে এই জেলার প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের (TMC) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার লক্ষ্য করা যায়। এবারে বিরোধীরা প্রথম থেকে কুৎসা করেছিল তারা ঠিকমতো মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না, এছাড়াও ভোটের দিন একের পর এক সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল তারা। যদিও সন্ত্রাসের অভিযোগ বেশি ছিল বিরোধীদের দিকে। কিন্তু ভোটাররা এসব কিছুর তোয়াক্কা না করে অবাধে ভোট দিয়েছেন জোড়া ফুলে। আস্থা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়নের উপর।

গত লোকসভা ও বিধানসভাতে ফল ভালো করে হুগলিকে নিজেদের গড় ভাবতে শুরু করেছিল BJP। কিন্তু সেই ভ্রান্তি দূর হয়েছে এবার পঞ্চায়েতে। সবথেকে শোচনীয় অবস্থা আরামবাগে। সেখানকার প্রায় প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে হেরেছে বিজেপির। যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে এখানকার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের চারটিতেই জিতে তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল বিধানসভায়। আরামবাগ আবার ফিরছে উন্নয়নের পক্ষে। এছাড়াও হুগলির সদর, সিঙ্গুর, হরিপাল যেখানকার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। হুগলি সদর সিঙ্গুর হরিপাল থেকে শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে বিজেপির। হরিপাল ও সিঙ্গুরের প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিপুল ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এছাড়াও উত্তর পাড়া শ্রীরামপুর ব্লকের অধিকাংশ গ্রাম সভায় তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে। কানাইপুর, জনাই ছাড়া প্রত্যেকটি গ্রাম সভায় তৃণমূল প্রার্থীরা পিছনে ফেলে দিয়েছে বিরোধী বিজেপি, বামফ্রন্ট কংগ্রেস এবং আইএসএফ প্রার্থীদের।
তৃণমূলের এই বিপুল জয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। হরিপাল এবং সিঙ্গুর পঞ্চায়েতে বিরোধী শূন্য হওয়ায় খুশির মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তিনি জানিয়েছেন রাজ্যের মানুষ বিজেপি সিপিএম সহ বিরোধীদের কুৎসা এবং অপপ্রচারের যোগ্য জবাব দিয়েছে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার জানিয়েছেন, “যেভাবে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যের মানুষের জন্য যে জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি গ্রহণ করেছেন তাতে বাংলার ঘরে ঘরে সেই সুফল পৌঁছেছে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে”। হুগলি শ্রীরামপুর তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিধায়ক অরিন্দম গুইন বলেন, প্রথম থেকেই বিরোধীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা রটিয়েছে। কিন্তু সচেতন পশ্চিমবাংলার মানুষ সম্পূর্ণ ভাবে তাদের এই অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করেছেন। এটা শুধুমাত্র তৃণমূলের জয় নয়, এটা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মেহনতি খেটে খাওয়া গরিব মানুষের জয়। আর হুগলি জেলার জয়ের পর পরিষ্কার হয়ে গেলো যে উন্নয়ন আর কুৎসার লড়াইতে জয়ী উন্নয়ন।
