ব্যালটে এঁটে উঠতে না পেরে বুলেটে ভাঙড় দখল করতে চাইছে ISF। গণনায় তৃণমূলের দিকে পাল্লা ভারী হতেই মঙ্গলবার সন্ধে থেকে এলাকায় প্রবল হামলার শুরু করে ISF সমর্থিত দুষ্কৃতীরা। মুহুর্মুহু চলে গুলি-বোমা। ঘটনায় এক আইএসএফ কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে গতকালের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং তাঁর দেহরক্ষীকে গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুনঃউত্তরের জলপাইগুড়িতে দিকে দিকে তৃণমূল, রাম-বাম নির্মূল
জানা গেছে গতকালের ঘটনায় আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে গুলিতে বলে জানান তার পরিবার। মৃতের নাম রাজু মোল্লা। তাঁর বয়স ৩৫।
এদিকে গতকালের ঘটনার পর বুধবার সকালেই থমথমে ভাঙড়ের পরিস্থিতি। রাস্তায় ছড়িয়ে বোমার চিহ্ন। জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিং এর মাধ্যমে চলছে তল্লাশি। অশান্তি আটকাতে কড়া পাহাড়ার পুলিশ।
অভিযোগ, ভাঙড়ের কাঠালিয়ায় গণনাকেন্দ্রের অদূরেই বোমাবাজি শুরু করে একদল দুষ্কৃতী। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়।ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। গতকালের ঘটনায় আইএসএফ কর্মী রেজাউল গাজী এবং হাসান আলী মোল্লা গুলিতে নিহত হন।
