গণনাপর্বে অশা.ন্তি, ভাঙড়ের ঘটনায় CID-কে তদ*ন্তভার রাজ্যের!

গু*লিতে জ*খম বারুইপুর পুলিশ (Baruipur Police) জেলার এএসপি। গু*লিবিদ্ধ আধিকারিকের দেহর*ক্ষীও। এবার ঘটনায় CID-কে তদ*ন্তভার দিল রাজ্য।

মনোনয়ন পর্ব থেকে গণনা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০২৩-এ (Panchayet Election)শুরু থেকেই শিরোনামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় (Bhangar)। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই বার বার রাজনৈতিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়ের একাংশ। রেহাই পায়নি পুলিশ। শেষবেলাতেও অশান্তি মিটল না। বিরোধীরা বারবার শাসক দলের দিকে আঙুল তুললেও সেখানকার মানুষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)সরকারের উপর আস্থা রেখেছেন তার প্রমাণ মিলেছে ভোট গণনার দিনেও। মঙ্গলবার সকালেই ভাঙড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপালের। তৃণমূলের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে যে রাজ্যে বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু ব্যালট খুলতেই দেখা গেল সবুজ ঝড়ে রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো জুড়ে গেছে ভাঙড়ের নামও। ১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে এসেছে ১৮টি (Panchayat Election Result 2023)। কিন্তু এরপরই আইএসএফ (ISF)কর্মীরা রাত বাড়তেই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। রাতেই ভাঙড়ে গণনা কেন্দ্রের সামনেই বোমাবাজি, গুলি। গুলিবিদ্ধ ২ আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু। গুলিতে জখম বারুইপুর পুলিশ (Baruipur Police) জেলার এএসপি। গুলিবিদ্ধ আধিকারিকের দেহরক্ষীও। এবার ঘটনায় CID-কে তদন্তভার দিল রাজ্য।

৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় রাজ্যে, গতকাল অর্থাৎ ১১ জুলাই ছিল ভোট গণনা যা চলে আজ বুধবার পর্যন্ত। বিকেলের পর থেকেই মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গেছিল যে মানুষের বিপুল সমর্থন পেয়ে গ্রাম বাংলার দখল নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভাঙড়েও একই ছবি। আইএসএফ খবরে ভেসে থাকতে জনসমর্থনের মিথ্যে দাবি করলেও ফলাফলেই স্পষ্ট মানুষের রায়। গণনায় তৃণমূলের (TMC) দিকে পাল্লা ভারী হতেই মঙ্গলবার সন্ধে থেকে এলাকায় প্রবল হামলার শুরু করে ISF সমর্থিত দুষ্কৃতীরা। মুহুর্মুহু চলে গুলি-বোমা। ব্যালটে এঁটে উঠতে না পেরে বুলেটে ভাঙড় দখল করতে চাইছে ISF বলে অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটাতে বাধ্য হয় পুলিশ। রবার বুলেটও ছোড়া হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বোমার আঘাতে জখম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। জখম তাঁর দেহরক্ষীও। এরপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সেনার উপস্থিতিতে নির্বিঘ্নে ভোট হবে বলে বিরোধীরা দাবি করে ছিল, সেই বাহিনী থাকা সত্বেও ভাঙড়ে কী করে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে সত্য অনুসন্ধান করতে চায় রাজ্য। ইতিমধ্যেই CIDকে তদন্তভার দেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

 

 

Previous articleএই প্রথম বড়পর্দায় নীল-তৃণা, জুটিতে জুড়বেন কি!
Next articleচ.ক্রান্ত করে বাদল অধিবেশন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত! সর্বদলীয় বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের