গদি মিডিয়ার ওপিনিয়ন পোল, রাজ্যপালের বামফ্রন্ট আঁতাতে নয়, মমতার প্রকল্পেই আস্থা মানুষের

বিজেপির "স্বঘোষিত" গড় জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গে শুকিয়ে গিয়েছে পদ্ম। যেদিকেই তাকান, শুধু জোড়াফুলের চাষ

ফের গ্রাম বাংলার সিগন্যাল গ্রিন। অটুট মমতা ম্যাজিক। ধরাশায়ী বিরোধীদের অশুভ আঁতাত। রামধনু জোটের ফন্দি-ফিকির নয়, জিতল বাংলার মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রীর জনমুখী প্রকল্প। জন্মে শিশুসাথী থেকে মৃত্যুতে সমব্যাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্য সাথী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উন্নয়নকে সমর্থন গ্রাম বাংলার মানুষের।অথচ রাজ্যপালের নেতৃত্বে বিরোধীদের সম্মিলিত “রামফ্রন্ট” জোটকে মানুষ কার্যত ছুঁড়ে ফেলে দিল। এক শতাংশেরও কম বুথে হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাগাতার প্রচার, রাজভবন-রাজ্যপালের সক্রিয়তা, রাষ্ট্রপতি শাসনের জুজু, বাংলা ভাগের উস্কানি, গদি মিডিয়ার ওপিনিয়ন বা এক্সিট পোল—সব হিসেব উল্টে অপ্রতিরোধ্য গতিতে আগুয়ান জোড়াফুল শিবির।

আরও পড়ুনঃসবে শুরু, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে চোখে সর্ষেফুল দেখানোর হুঁশিয়ারি কুণালের

বিজেপির “স্বঘোষিত” গড় জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গে শুকিয়ে গিয়েছে পদ্ম। যেদিকেই তাকান, শুধু জোড়াফুলের চাষ। ঊনিশের লোকসভা হোক কিংবা একুশের বিধানসভা বিজেপির পালে হাওয়া দেওয়া আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি তো বটেই, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েও এবার পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দাপট অব্যাহত। গ্রামসভা ও সমিতিতে আগেই মতোই সাফল্য পেয়েছে শাসক দল। এবারও সবকটি জেলা পরিষদ নিজেদের দখলে রাখল তৃণমূল।

পঞ্চায়েত ভোটের ফল ফের একবার প্রমাণ করল, সাংগঠনিক শক্তি ছাড়া শুধুমাত্র সন্ত্রাস আর হিংসার ধুয়ো তুলে যে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যায় না। কোর্টে নয়, মাঠে থেকে লড়াই করতে হয়। তৃণমূলকে ফ্রেশ অক্সিজেন দিয়ে পঞ্চায়েতের এই ফল আগামিবছর লোকসভার আগে বিরোধীদের কপালে যে ভাঁজ ফেললো তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Previous articleসবে শুরু, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে চোখে সর্ষেফুল দেখানোর হুঁশিয়ারি কুণালের
Next articleদিনহাটায় বো.মা ফেটে জ.খম ১ কিশোর সহ দু’জন