সবে শুরু, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে চোখে সর্ষেফুল দেখানোর হুঁশিয়ারি কুণালের

গোটা জেলার পাশাপাশি শুভেন্দুর গড় নন্দীগ্রামেও ভাল করেছে ঘাসফুল শিবির। নন্দীগ্রামে জেলা পরিষদ আসনেও শুভেন্দুর মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে মানুষ। পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রামসভায় বিজেপি-তৃণমূল সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হয়েছে।

এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের জেলাতেই জোর ধাক্কা খেলেন দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ নিজেদের দখলেই রাখল তৃণমূল। সেখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি বা শুভেন্দু। পূর্ব মেদনিপুর জেলা পরিষদ নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করল শাসক দল।

গোটা জেলার পাশাপাশি শুভেন্দুর গড় নন্দীগ্রামেও ভাল করেছে ঘাসফুল শিবির। নন্দীগ্রামে জেলা পরিষদ আসনেও শুভেন্দুর মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে মানুষ। পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রামসভায় বিজেপি-তৃণমূল সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হয়েছে। নন্দীগ্রামে রাম-বাম-শ্যাম অশুভ আঁতাত না করলে একটিও গ্রামসভার আসন পেত না বিজেপি। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রামে গেরুয়া সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছিল শুভেন্দু। কিন্তু মানুষ সবকিছুকে উপেক্ষা করে তৃণমূলকে সমর্থন করেছে। ভোটের ফলপ্রকাশের পর নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা কুণাল ঘোষ বলেন, “নন্দীগ্রামে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোটে অশান্তি করে ফলাফল প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে। সেই অপচেষ্টা রুখে দিয়েছেন মানুষ।”

নন্দীগ্রামের দুটি ব্লক মিলিয়ে মোট ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। যার মধ্যে নন্দীগ্রাম ১-এ গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ১০টি। তার মধ্যে ৫টিতে জিতেছে বিজেপি। বাকি ৫টিতে জিতেছে তৃণমূল। আবার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি ৪টিতে জিতেছে, তৃণমূল জিতেছে ৩টিতে। অর্থাৎ, মোট ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৯টিতে। আর তৃণমূল ৮টিতে।

এমন টক্করের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নন্দীগ্রাম সহ পূর্ব মেদিনীপুরের সার্বিক ফলাফল তুলে ধরে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, “নন্দীগ্রামসহ পূর্ব মেদিনীপুরে বেইমান বিধ্বস্ত। জেলা পরিষদ- ৫৬-১৪।
নন্দীগ্রাম: গ্রাম পঞ্চায়েত ৮-৯( আমাদের অভ্যন্তরীণ সমীকরণের জন্য)। পঞ্চায়েত সমিতি: ১-১। জেলা পরিষদ ৩-২। দেখ কেমন লাগে। সবে শুরু। চোখে সর্ষেফুল দেখাবো ব্লকস্তরের নেতা শুভেন্দুকে।”

Previous articleগণনা শেষ হতে না হতেই সন্ত্রা.স শুরু বিজেপির, নৃ.শংসভাবে তৃণমূল কর্মীকে খু.ন
Next articleগদি মিডিয়ার ওপিনিয়ন পোল, রাজ্যপালের বামফ্রন্ট আঁতাতে নয়, মমতার প্রকল্পেই আস্থা মানুষের