হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বুধবার বিকেলে ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে বৈঠক করেন সিআরপিএফ ও বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।সেই বৈঠকের রেশ ধরে বৃহস্পতিবার নবান্নে হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। মূলত হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েই এই বৈঠক হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী আচরণ বিধি উঠে গিয়েছে। এর ফলে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করতে হলে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে সিআরপিএফ ও বিএসএফকে। আর সেই কারণেই বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বীবেদির নেতৃত্বে এই বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হাইকোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্যে ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী কোন কোন জেলায় কত সংখ্যক মোতায়েন করা হবে, কীভাবে মোতায়ন করা হবে তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে বিশেষভাবে নজর দেয়, তা নিয়ে এই দিনের বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।যাতে জেলাগুলিতে বাহিনী মোতায়নের ক্ষেত্রে সমন্বয় থাকে তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।সেক্ষেত্রে নির্বাচন পরবর্তী অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে হবে।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের কয়েকটি বুথে ফের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই বুথগুলিতে বাহিনী মোতায়েন নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।আসলে দুদিন আগেই বিএসএফের তরফে হাইকোর্টে অভিযোগ জানানো হয়েছিল যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তাদেরকে দেওয়াই হয়নি।যদিও যে বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচন হয়েছিল সেই বুথগুলিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও বিএসএফ যৌথভাবে এক সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কোনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি বা দুটি বুথ থাকলে এক সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় পরবর্তী ক্ষেত্রে গণনা কেন্দ্রগুলিতেও এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে গোটা রাজ্য জুড়ে কিভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের পরিকল্পনা হবে, বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য, সেই বিষয়টি নিয়ে এদিন সিআরপিএফের ডিজি এবং বিএসএফের এডিজির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
