গরু পাচার কাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মামলায় আজও জামিন অধরা। শুক্রবার শুনানি ছিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। অনুব্রতের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন আদালতে। কিন্তু তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত বা তিহার জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগই করা গেল না।বহুক্ষণ চেষ্টা করেও তিহার জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও ভাবেই অনলাইনে সংযোগ করতে পারল না আসানসোল আদালত। ফলে দুজনের কারোরই জামিনের আবেদন করতে পারলেন না আইনজীবীরা।
যদিও নতুন তথ্য দিয়ে সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, বীরভূমে একটি পেট্রল পাম্প অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের নামে রয়েছে। এ ছাড়া খন্দকার কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানিতে প্রচুর নগদ টাকা জমা হয়েছে। তার তথ্য সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছে। ওই কোম্পানির মালিক সায়গলের শ্যালক বলে জানা গিয়েছে। এর আগে অনুব্রতের নামে চারটি পেট্রল পাম্প থাকার কথা দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার নতুন একটি চালকলের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। এই চালকলের সঙ্গে কেষ্টর চালকলের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল বলে দাবি। আদালতে তারা জানায় পুরনো যে চুক্তিপত্র পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি বিভিন্ন ভাবে হাত বদল হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা বাজার মূল্য রয়েছে ওই জমিগুলির।
আরও একটি অশ্চর্জনক তথ্য সিবিআই জানিয়েছে, ওই জমিগুলোর রেজিস্ট্রি হয়েছ নগদ টাকায়। প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থে জমির রেজিস্ট্রি হল, কিন্তু তা নিয়ে কেন রেজিস্ট্রি অফিস কোনও প্রশ্ন তুলল না, তাতেও ‘বিস্মিত’ তদন্তকারীরা।সিবিআইয়ের আইনজীবীরা জানান, নতুন তথ্য নিয়ে তারা তিহাডর জেলে সায়গল হোসেন এবং অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১০ অগস্ট।