Monday, August 25, 2025

সীমাকে ফেরত না পাঠালে ভারতে ২৬/১১-র মতো জঙ্গি হামলার হুমকি পাকিস্তানের

Date:

মুম্বই ট্রাফিক কন্ট্রোলরুমে একটি হুমকি ফোন আসে। কলার, উর্দু ভাষায় বলে যে যদি আপনারা সীমা হায়দারকে পাকিস্তানে ফেরত না পাঠান, তাহলে ভারতে নাশকতা হবে। ২৬/১১-র মতো জঙ্গি হামলার জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং এর পিছনে উত্তরপ্রদেশ সরকার দায়ী থাকবে। জানা গিয়েছে যে, এই কল ১২ জুলাই মুম্বাই পুলিশ কন্ট্রোল রুমে আসে। যার পরে এই ঘটনাটি এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। মুম্বই পুলিশ এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চে বিষয়ে তদন্ত করছে। এর আগেও মুম্বই পুলিশের কাছে এই ধরনের হুমকি ফোন এসেছে।

পাকিস্তানের সিন্ধ এলাকার জইশমাবাদ এলাকার বাসিন্দা সীমা। নথি অনুযায়ী তাঁর বিয়ে হয়েছে গুলাম হায়দার রাজার সঙ্গে ২০১৪ সালে। তাদের ৪টি বাচ্চা রয়েছে। ২০১৯-এ গুলাম হায়দার কাজের জন্য সৌদি আরব চলে যান। সেখান থেকে তিনি সীমাকে পয়সা পাঠাচ্ছিলেন। সীমার দাবি যে, ২০১৯ সালের পর হায়দার কখনও বাড়ি ফিরে আসেননি। এরই মধ্যে ২০২০ সালে সীমার বন্ধুত্ব হয় পিউবিজি গেমের মাধ্যমে। নয়ডার একটি গ্রাম এর বাসিন্দা শচীনের সঙ্গে দুজনের প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

১০ মার্চ তিনি নেপাল আসেন। সীমার দাবি যে তিনি নেপালের একটি মন্দিরে শচীনের সঙ্গে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি পাকিস্তান ফিরে যান। কিন্তু সীমা শচীনের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন। এ কারণে ১০ মে তিনি নিজের ৪ বাচ্চাা নিয়ে করাচি থেকে আরব আমিরশাহীর শারজা পৌঁছান। এরপর সেখান থেকে তিনি ফ্লাইটে কাঠমান্ডু পৌঁছান। কাঠমান্ডু থেকে পোখরা একটি প্রাইভেট গাড়ি চড়ে পৌঁছান।

এরপরে পোখরা থেকে দিল্লি জন্য তিনি বাস নেন। রাস্তায় নয়ডাতে শচীন তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ১৩মে সীমা নয়ডা আসেন এবং সেখান থেকে শচীন তাকে রবপুরা এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে দুজনে ভাড়ার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। পুলিশ যখন এই বিষয়টি জানতে পারে, তারপর ৪  জুলাই দুজনকে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়। যদিও এখনও দুজনে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
করাচিতে পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ভারতীয় মিডিয়া সীমা এবং তার বাচ্চাদের কাহিনী সামনে আনে। তখন তারপরে সীমার স্বামীন গোলাম হায়দার সোশ্যাল মিডিয়াতে সৌদি আরব থেকে একটি আবেদন জারি করেন। এ নিয়ে সীমা হায়দর বলেন যে, তাঁর স্বামী ওভার অ্যাকটিং করছেন। যেরকম তাঁকে দেখা যাচ্ছে, সেরকম তিনি নন।
পাকিস্তানের জেকোবাবাদের বাসিন্দা গোলাম হায়দার এবং সীমা ঘটনাচক্রে সাক্ষাৎ করে ফেলেন। ভুল করে একটি রং নম্বর লেগে যায়। তিনি পড়ে সেই নম্বরে কল ব্যাক করলে তাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। এরপরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু সীমার বাড়ি থেকে এই বিয়ের জন্য রাজি ছিলেন না। বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে কোর্টে তাঁরা বিয়ে করে নেন। পালিয়ে বিয়ে করায় এলাকায় পঞ্চায়েতও বসেছিল। যেখানে গুলাম হায়দারকে জরিমানাও দিতে হয়।

 

Related articles

একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস! মঙ্গলে জেলা সফরে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী

আগামিকাল, মঙ্গলবার বর্ধমানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সফর ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে...

বিদ্যাপতি সেতুর সংস্কার শুরু, ধাপে ধাপে সরানো হবে দোকান

শিয়ালদহ ফ্লাইওভার বা বিদ্যাপতি সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করতে চলেছে কেএমডিএ। তার আগে সেতুর নীচে গড়ে ওঠা দোকানগুলিকে...

দার্জিলিংয়ে প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, তাকদায় সূচনা নতুন দিগন্তের

চলতি সপ্তাহেই নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে দার্জিলিং পাহাড়ে। প্রথমবারের জন্য পাহাড় পাচ্ছে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে...

ঘোষণা ছাড়াই টালিগঞ্জ থেকেই ঘুরছে মেট্রো! স্বস্তি উড়েছে যাত্রীদের

কথা দিয়ে কথা রাখছে না মেট্রো! কোনও ঘোষণা ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছেমতো ট্রেন চালাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই ক্ষোভ...
Exit mobile version