অভিষেকের হয়ে ব্যাট ধরে বিকাশকে “অমিতাভ লালা বাংলা ছেড়ে পালা” স্মরণ করালেন কুণাল

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও আদালত অবমাননা করেননি। তিনি একটি গভীর আক্ষেপের কথা বলেছেন। বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে লড়তে না পেরে তাঁকে এবং তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের এজেন্সি দিয়ে হয়রানি করছে।

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বিচারব্যবস্থার একাংশের প্রতি চরম অভিমান প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এক বিচারপতির নাম নিয়ে সরাসরি বিজেপিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) নাম উচ্চারণ করে অভিষেক বলেছিলেন, “হাইকোর্টের জাস্টিস, রাজাশেখর মান্থার জাজমেন্ট… এমন জাজমেন্ট দিচ্ছেন, শুভেন্দু আগামিদিনে অপকর্ম করলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। সেই রাজাশেখর মান্থাই জাজমেন্ট দিয়ে বিজেপির গুন্ডাবাহিনীকে প্রোটেকশন দিয়ে রেখেছে।” এবার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে নালিশ জানালেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)।

আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের আর্জি। সোমবার মামলাকারী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে অভিযোগপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। চলতি সপ্তাহে ফের বসবে বৃহত্তর বেঞ্চ। সেখানে এই হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

এদিন ফের অভিষেকের হয়ে ব্যাট ধরলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, “আবারও বলছি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও আদালত অবমাননা করেননি। তিনি একটি গভীর আক্ষেপের কথা বলেছেন। বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে লড়তে না পেরে তাঁকে এবং তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের এজেন্সি দিয়ে হয়রানি করছে। অন্যদিকে, সুরক্ষা কবচ পেয়ে বিজেপির গুন্ডারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে সন্ত্রাস করছে। সুরক্ষা কবচের পর সুরক্ষা কবচ নিয়ে একটি আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অভিষেক, এর সঙ্গে আদালত অবমাননার কোনও সম্পর্ক নেই। অভিষেক এবং তৃণমূল আদালতকে সম্মান করে।”

এরপরই বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে খোঁচা মেরে কুণাল বলেন, “বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পিটিশন জমা দেবেন শুনছি। বিকাশবাবু যেন তাঁর হলফনামাতে লিখে দেন, তিনি যে দলের নেতা সেই দল অর্থাৎ সিপিএম নেতা ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেছিলেন অমিতাভ লালা বাংলা ছেড়ে পালা। হলফনামাতে নিজেদের সেই সিপিএম পরিচয়টা যেন উজ্জ্বল করেন।”

 

 

Previous articleসুপ্রিমো বিচারপতিদের সম্মান করেন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে মমতার ভূয়সী প্রশংসা
Next articleওরা আমাদের গুরুত্ব দেয় না: জোট বৈঠকে ব্রাত্য কুমারস্বামীর NDA যোগের ইঙ্গিত