বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে টাকার বিনিময়ে চাকরি! বড় নিয়োগ দুর্নী.তি গেরুয়া রাজ্যে

সরকারি চাকরির (Government Job) পরীক্ষায় পাশ করা প্রথম ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই বিজেপির বিধায়কের (BJP MLA)কোচিং সেন্টার থেকে পড়াশোনা করেছেন এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করা এক পরীক্ষার্থী ন্যূনতম প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ! তাহলে কোন যোগ্যতায় চাকরি পেলেন তিনি ,নাকি সবটাই হয়েছে মোটা টাকার বিনিময়ে? বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam in Madhyapradesh) নয়া কেলেঙ্কারি ফাঁস! মধ্যপ্রদেশের রাজস্ব বিভাগের হিসাবরক্ষকের (revenue department staffers) লোভনীয় সরকারি পদের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। শিবরাজ সিং চৌহানের (Shivraj Singh Chouhan) রাজ্যে সরকারী চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন ৯ লক্ষ ৮০ হাজার পরীক্ষার্থী। মেধা তালিকায় নাম উঠেছে ৯ হাজার জনের। সংবাদমাধ্যমে ইতিমধ্যেই দাবি করা হচ্ছে, যে বড়সড়ো নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে মধ্যপ্রদেশ সরকার এবং রীতিমতো মোটা টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি বিক্রি করেছেন বিজেপি বিধায়করা।

কেন্দ্রের মোদি শাহরা (Modi- Shah)বারবার ডাবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের কথা বলেন বাংলায়। যেখানে যেখানে ডাবল ইঞ্জিন সেখানে সেখানেই বড় দুর্নীতি, সম্প্রতি যার প্রমাণ মিলেছে মধ্যপ্রদেশে। রাজ্যের এক দাপুটে বিজেপি বিধায়কের কলেজ থেকে মোটা অর্থ দিয়ে সরকারি পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের রাজ্যে ভূমি রাজস্ব দফতরের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম দশের মধ্যে আটজনই বিজেপি বিধায়কের সেন্টার থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। পড়াশোনা করে পরীক্ষায় বসে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে কোনও কথা ছিল না। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষায় তৃতীয় হওয়া পুণম রাজাওয়াত (Poonam Rajawat) নামের এক পরীক্ষার্থী সাধারণ বানান পর্যন্ত বলতে পারছেন না। এমনকি কোন কোন বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই সম্পর্কেও তিনি নিশ্চিত নন। এই খবর এবং ভিডিও প্রকাশ আসার পর থেকেই রীতিমত হইচই পড়ে গেছে। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির (BJP ) ডাবল ইঞ্জিন সরকার যে আসলে বড় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ২৬ এপ্রিল এই পরীক্ষা হয় এবং জুন মাসে ফলাফল প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকে যত দিন যাচ্ছে ততই নিয়োগ কেলেঙ্কারির একের পর এক খবর সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ ইতিমধ্যেই বলছে,যে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ যে আসলে সত্যি, তা নিয়ে কারোর কোনও সংশয় নেই। জনগণের টাকা নিয়ে নিজের কোষাগার ভর্তি করতে ব্যস্ত বিজেপি। অন্য রাজ্যের দিকে আঙুল তুলে আর কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে আখেরে গেরুয়া রাজ্যের দুর্নীতি থাকতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহ-রা।

 

 

 

Previous articleবুধে মণিপুর যাচ্ছে তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল
Next articleবিজেপি সাংসদদের ১২ শতাংশই পরিবারবাদের শি.কার: মোদিকে পাল্টা তো.প তৃণমূলের