Friday, November 14, 2025

একজন মানুষের মুখে ৪৬২ টি ছিদ্র! আর সবটাই হয়েছে তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী। ব্রাজিলের স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গের (Edinburgh, Scotland, Brazil) বাসিন্দা ইলাইন ডেভিডসন (Elaine Davidson)এই কারণেই গোটা পৃথিবীর কাছে পরিচিত। তাঁকে ভালোবেসে ‘কালো রাজকন্যা’ (Black Princess) বলে ডাকেন অনেকে। গিনেস বুক অব দ্য ওয়ার্ল্ডে (Guinness Book of the World Records ) নাম তোলার লক্ষ্য নিয়ে তিনি যে অদ্ভুত কান্ড ঘটিয়েছেন তাতে বাকরুদ্ধ বিশ্ব। একটু অন্যরকম কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে নিছক শখের বশে ১৯৯৭ সালে নিজের শরীরে ২৮০টি ছিদ্র করে তিনি অলঙ্কার পরিধান করেন। বর্তমানে তাঁর মুখেই ৪৬২ টি ছিদ্র। যার মধ্যে ২৯২ টি ছিদ্র ছিল ঠোঁটে এবং জিহ্বায়।

একেক মানুষের একেক রকমের শখ থাকে। কিন্তু কোনও মানুষ তাঁর যৌনাঙ্গে ও আশেপাশে ৫০০টিরও বেশি ছিদ্র করাতে পারেন? ইলাইন ডেভিডসন এই অসম্ভব কাজটি অবলীলায় করে ফেলেছেন।গিনেস বুক অব দ্য ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন তিনি। এত ছিদ্র করেও তিনি সন্তুষ্ট নন। ইলাইন বলেন, “শরীরে জুড়ে ট্যাটু ও ছিদ্র করার বিষয়টি আমার ততটা পছন্দের ছিল না। তবে ভাবলাম এই পিয়ার্সিংয়ের মাধ্যমে যদি নামকরা একজন হতে পারি! আমি রেকর্ড ভাঙতে চেয়েছিলাম। তবে আমার পরিবার কখনো আমাকে উৎসাহ দেয়নি। কারণ তাঁরা এসব পছন্দ করেন না। তবে আমি ঠিকই আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি। বিশ্বের সবাই এখন আমাকে চেনে।” ২০০৮ সালে মে মাসে তাঁর সারা দেহে ছিদ্রের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৯২০ টি তে। এর একবছর পর ফেব্রুয়ারি মাসে সেই সংখ্যা হয় ৬ হাজার ৫।

ইলাইন ডেভিডসন নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে মুখের মধ্যে করা ছিদ্রগুলোতে যেসব অলঙ্কার পরেন সেগুলোর ওজন মোট তিন কেজি। পাশাপাশি তিনি সবুজ, নীল ও হলুদ রঙের রেখা টানেন, যাতে অলংকারের সাজ আরও স্পষ্ট হয়। তবে শুধু শরীরে একাধিক ছিদ্র করেই তিনি থেমে গেছেন, এটা ভাবা ভুল। তিনি এমন অনেক অসম্ভব কাজকর্ম করতে পারেন যা হয়তো সাধারন মানুষ স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না। তিনি খালি পায়ে কাচের টুকরার উপরে সাবলীল ভাবে হাঁটতে পারেন আর এতে বিন্দুমাত্র ব্যথা অনুভব করেন না! কিন্তু শরীরে এত ছিদ্র তাঁকে কোনও সমস্যায় ফেলে না? চিকিৎসক বলেছেন, এতো সব ছিদ্রের কারণে তিনি হেপাটাইটিস বা এইডসের মতো ভয়াবহ রোগ আক্রান্ত হতে পারেন।

আজ থেকে ১২ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর থেকে তিনি একাই স্কটল্যান্ডে থাকেন। ব্রাজিলে তাঁর নিজস্ব একটি পার্লার রয়েছে। বাইরের লোকজনের সঙ্গে খুব একটা বেশি মেলামেশা পছন্দ করেন না এই মহিলা। নিজের জগতে ভালোই আছেন ইলাইন। আশেপাশের লোকের কথায় কান্না দিয়ে নিজের ইচ্ছে পূরণের মাধ্যমেই সুখে থাকতে চান তিনি। এমন মানুষ শুধু বিস্ময়কর নন, বিরলও বটে। হয়তো তাঁকে সামনাসামনি দেখলে বাঙালির প্রিয় জটায়ু বলেই ফেলতেন, ” আপনাকে তো কালটিভেট করতে হচ্ছে মশাই!”

 

 

 

Related articles

সোনারপুরে শুরু হচ্ছে প্রবীণদের জন্য বিনামূল্যে নিউমোনিয়া ও ফ্লু টিকাকরণ কর্মসূচি

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই নিউমোনিয়ার সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যজুড়ে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই রোগ অনেক সময় প্রাণঘাতী...

প্রকাশিত হল আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

প্রকাশিত হল আগামী বছরের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি। কাউন্সিলের তরফে এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি...

রায় দেখে পদক্ষেপ: মুকুল-প্রসঙ্গে মন্তব্য স্পিকারের, কাগজে-কলমে বিজেপির বিধায়ক কমেছে- বললেন কুণাল

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের রায়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর রাজ্য বিধানসভার...

পার্থর গোপন ভয়েস ক্লিপ আছে! কার সঙ্গে? বিস্ফোরক তথ্য দিলেন বৈশাখী

জয়িতা মৌলিক "শোভন-বৈশাখী হতে গেলে অনেক আগুনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। ওটা ওতো সহজ নয়। শোভন নিজের বান্ধবীর দিকে...
Exit mobile version