মোদি পদবি অবমাননার মামলায় সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযোগকারী বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদিকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি আরএস গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চ এই মামলায় অবস্থান জানতে নোটিস পাঠিয়েছে গুজরাট সরকারকেও। আগামী ৪ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আরও পড়ুনঃমোদি পদবি মামলা: সাজা থেকে রেহাই পেতে শীর্ষ আদালতে রাহুল
সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানিয়েছে, এই পর্যায়ে মামলার দীর্ঘায়িত শুনানির প্রয়োজন নেই। সাজার উপর স্থগিতাদেশ হবে না বহাল থাকবে, শুনানি হবে তা নিয়েই। তবে বেঞ্চ কেন রাহুলের মামলায় গুজরাত সরকারের মতামত শুনতে চেয়েছে মৌখিক আদেশে তা স্পষ্ট হয়নি।
‘মোদি’ পদবিধারীদের সম্পর্কে রাহুলের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল ২০১৯-এ কর্নাটকের একটি জনসভার ভাষণের বক্তব্য নিয়ে। রাহুল সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার পর পরই পূর্ণেশ মোদি ক্যাভিয়েট করেছিলেন শীর্ষ আদালতে, যাতে তাঁর কথা না শুনে কোনও রায় দেওয়া হয়। শুক্রবার শীর্ষ আদালত তাঁকে রাহুলের সাজা মকুবের আর্জি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা জমা করতে বলেছে।
গত ২৩ মার্চ মোদি পদবিধারীদের মানহানির মামলায় গুজরাটের সুরাতের নিম্ন আদালত রাহুলকে দু’বছর কারাবাসের সাজা দেয় । সেই রায় বহাল রেখেছে গুজরাট হাই কোর্ট। তার আগে রাহুলের আর্জি খারিজ করে দেয় সুরাতের জেলা উচ্চ আদালতও। এবার সুপ্রিম কোর্টও রাহুলের সাজা বহাল রাখলে তিনি আগামী আট বছর অর্থাৎ ২০৩১ সাল পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন না। চলতি আইন হল দু’বছর কারাবাসের পর আরও ছয় বছর ভোটে অংশ নেওয়া যায় না।
আপাতত রাহুলের আবেদনের মূল কথা হল, তাঁর সাজার মেয়াদ কমানো হোক। যে অপরাধে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে তা ততটা গুরুতর নয়। রাহুলের আইনজীবীদের মতে, সাজার মেয়াদ একদিন কমে গেলেই রাহুল ফের সংসদে ফিরতে পারবেন। ভোটেও প্রার্থী হতে পারবেন। তাঁকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য দায়ের হওয়া পৃথক মামলার শুনানি এখনও শুরু হয়নি সুরাতের নিম্ন আদালতে।
শুক্রবার সিঙ্ঘভি আদালতে বলেন, সুরাতের নিম্ন আদালতের রায়ের ফলে তাঁর মক্কেল ১১১ দিন ধরে সমস্যার মধ্যে আছেন। তাঁর সাংসদ পদ চলে গিয়েছে। তাঁকে অবিলম্বে সংসদে ফেরার সুযোগ করে দিক আদালত।