ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাভাবিকভাবেই শিশু ও বয়স্কদের অসুখ-বিসুখের পরিমাণ বাড়ে। কিন্তু সাধারণ অসুখ এমন মাত্রা ছাড়া রূপ নিয়েছে যে দিশাহারা অবস্থায় চিকিৎসকরা। সাম্প্রতিক সময় অ্যান্টিবায়োটিককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে সুপার বাগ। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চরিত্রের পরিবর্তন করেছে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার গোটা রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের সরকারি হাসপাতালে সুপার বাগ চিহ্নিত করতে হাব ও স্পোক মডেল কর্মসূচি গ্রহণ করল স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুপারবাগ চিহ্নিত করতে হাব(বড় হাসপাতাল) এবং স্পোক(ছোট হাসপাতাল) মডেল কর্মসূচিতে ১৬টি মেডিক্যাল কলেজ বা হাবকে যুক্ত করা হচ্ছে ৮৩টি মহকুমা, জেলা, স্টেট জেনারেলের মতো মাঝারি স্তরের হাসপাতালের সঙ্গে। এসব মাঝারি হাসপাতাল বিভিন্ন রোগীর নমুনা বড় হাসপাতালে পাঠাবে। বড় হাসপাতালগুলি তা পরীক্ষা করবে। তারা তথ্য আপলোড করবে এ সংক্রান্ত সরকারি অনলাইন তথ্যভাণ্ডারে। পাঠাবে মাঝারি হাসপাতালগুলিতেও। এই পদ্ধতি মেনে চলবে চিকিৎসা।

উল্লেখ্য, যখন কোনো মাইক্রোঅর্গানিজম (বিশেষত ব্যাকটেরিয়া) অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে ওঠে, তখন সেটাকে বলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স। আর যখন কোনো ব্যাকটেরিয়া একাধিক ড্রাগ রেজিস্টেন্স জিন বহন করে তখন তাকে বলা হয় মাল্টিড্রাগ রেজিস্টেন্ট বা সুপার বাগ। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে পারে। যা এখন সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে চিকিৎসা বিভাগের কাছে।
