“দেশর.ক্ষা করেছি, স্ত্রীর সম্মান বাঁচাতে পারলাম না”, আক্ষেপ মণিপুরের কার্গিল যো.দ্ধার

ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসম রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন নির্যা.তিতার স্বামী। সুবেদার হিসেবে অবসর নিয়েছেন। গত আড়াই মাসে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়েছে তাঁর। আক্ষে.প ঝরে পড়ছে তাঁর গলায়।

শুধু “বেটি বাঁচাও…” নয়, বিজেপি পরিচালিত “ডাবল ইঞ্জিন” মণিপুরে ভূলুণ্ঠিত “জয় জওয়ান” স্লোগানও! আগেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন দুই নির্যাতিতা। সামনে এসেছিল পুলিশের সহযোগিতায় নারকীয় অত্যাচারের ভয়ঙ্কর কাহিনী। এবার মুখ খুললেন এক নির্যাতিতার স্বামী। যিনি ভারতীয় সেনার প্রাক্তন কর্মী। কার্গিল যুদ্ধের নায়ক। সেই সেনার কান্নাভেজা গলায় আক্ষেপ, “শত্রুদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছি, কিন্তু পশুদের হাত থেকে স্ত্রীকে রক্ষা করতে পারলাম না।”

জানা গিয়েছিল, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসম রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন নির্যাতিতার স্বামী। সুবেদার হিসেবে অবসর নিয়েছেন। গত আড়াই মাসে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়েছে তাঁর।আক্ষেপ ঝরে পড়ছে তাঁর গলায়। অসহায়ের মতো বারবার বলছেন, “কার্গিল যুদ্ধে দেশের জন্য লড়াই করেছি। শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য হিসেবে শ্রীলঙ্কাতেও গিয়েছিলাম। কর্মরত অবস্থায় দেশরক্ষা করেছি। কিন্তু অবসর জীবনে নিজের বাড়ি, স্ত্রী ও গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে পারলাম না। দুঃখে, হতাশায় ভেঙে পড়েছি।”

গত ৪ মে’র ঘটনা। দুই আদিবাসী নির্যাতিতা আগেই বর্বরতার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। এবার কার্গিল যুদ্ধের নায়ক এই অবসরপ্রাপ্ত সেনার মুখেও ছিল তার পুনরাবৃত্তি। তিনি বলেন, “উন্মত্ত হামলাকারীরা গ্রামে ঢুকে প্রথমেই বহু বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিল। মানুষ নয়, যেন একদল পশু! তারপর মহিলাদের বিবস্ত্র করে সর্বসমক্ষে গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করল ওরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নিল না। আমি চাই যারা বাড়িঘর জ্বালাল, মহিলাদের হেনস্তা করল, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”

সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার বর্ণনা রয়েছে গত ২১ জুন পুলিসের কাছে দায়ের হওয়া এফআইআরেও। সেখানে দাবি করা হয়েছে, বোনের সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে ওইদিন নৃশংসভাবে খুন হন এক নির্যাতিতার ভাই। ঘটনাস্থল সাইকুল থানা থেকে ৬৮ কিলোমিটার দক্ষিণে, কাংপোকপি জেলার আইল্যান্ড মহকুমা। এরপরই নির্যাতিতাদের গ্রামে ঢুকে কুকি আদিবাসীদের উপর হামলা চালায় মেইতেই সম্প্রদায়ের হাজারখানেক মানুষ। হামলাকারীদের সঙ্গে ছিল একে সিরিজের রাইফেল, এসএলআর, ইনসাস, থ্রি নট থ্রি রাইফেল। প্রথমে বাড়ি বাড়ি ঢুকে চলে অবাধে ভাঙচুর, লুটপাট। নগদ টাকা, খাদ্যশস্য, আসবাব, গবাদি পশু, মোবাইল— বাদ যায়নি কিছুই। তারপর সর্বত্র আগুন লাগিয়ে দেয় হামলাকারীরা।

 

 

 

Previous articleভোর থেকেই ব্যাক টু ব্যাক ব্যালি.স্টিক মি.সাইল নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার!
Next articleসেলিমকে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ সিপিএম কর্মীদের, উঠল, “গো ব্যাক” স্লোগান!