টনক নড়ল ৩ মাস পর! মণিপুর নিয়ে রিপোর্ট তলব মানবাধিকার কমিশনের

৩ মাস ধরে হিংসায় জ্বলছে মণিপুর(Manipur)। নৃশংস হত্যা, খুন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে এলেও মণিপুর ইস্যুতে হাত-পা গুটিয়ে ‘কচ্ছপ’ হয়ে ছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন(NHRC)। অবশ্য বঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে তাদের তৎপরতার কোনও খামতি ছিল না। তবে দেশের একটি স্বশাসিত সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে কচ্ছপের খোলস থেকে মাথা বের করল কমিশন। ‘ডবল ইঞ্জিনের রাজ্য’ মণিপুরের হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হল কমিশনের তরফে। এর পাশাপাশি অবশ্য বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংকে(N Biren Singh) চিঠি পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন(NHRC)। সেই চিঠিতে বার্তা দেওপ্যা হয়েছে যাতে আর কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটে মণিপুরে তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে তা সামাল দিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা কমিশনকে জানাতে হবে। অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। কত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা সম পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পেয়েছে কিনা তাও বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে কমিশনকে। মণিপুরে হিংসা রুখতে কী কী পদক্ষেপ করেছে সে রাজ্যের সরকার, তাও জানতে চায় মানবাধিকার কমিশন। দ্রুত সেই তথ্য দিতে হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। তবে দীর্ঘ ৩ মাস পর মানবাধিকার কমিশনের এহেন সক্রিয়তা অত্যন্ত হাস্যকর বলে দাবি করছে বিরোধীরা। যদি এই কমিশন সত্যিই মোদি সরকারের তোষামোদ ও বিজেপির হাতের পুতুল না হয়ে নিরপেক্ষ হত তবে এই পদক্ষেপ হিংসার শুরুতেই নিত এই নির্লজ্জ কমিশন। এখন প্রবল চাপের মুখে লজ্জা ঢাকতেই এই পদক্ষেপ।

তবে শুধু মণিপুর নয়, একইসঙ্গে এক সপ্তাহ আগে মালদহের বামনগোলায় ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতনের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ২ সপ্তাহের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে বলেছে তারা। পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকেও লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছে তারা। এই ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই ভূমিকাকে দ্বিচারিতা বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, “মণিপুরের ঘটনায় ৩ মাস পর রিপোর্ট তলব করল। ওখানে কী ঘটছে তা না দেখে চোখ বন্ধ করে রয়েছে কমিশন। এদিকে বাংলাকে বদনাম করতে মালদহের ঘটনায় রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।”