ধূপগুড়িতে সু*পারি কি*লার দিয়ে মামাকে খু*ন ভাগ্নের! ধৃত৬

এরপর রাত ২টো নাগাদ কয়েকজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা দরজা ভেঙে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে।

প্রতীকী ছবি

সুপারি কিলার দিয়ে মামাকে খুনের অভিযোগ উঠল ভাগ্নের বিরুদ্ধে। ধূপগুড়ির এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য পড়েছে এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খুনের ঘটনায় ধূপগুড়ি থানার আংরাভাষা সজনাপাড়া এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন আংরাভাষা সজনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মেহতাব আলম। এরপর রাত ২টো নাগাদ কয়েকজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা দরজা ভেঙে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে। আচমকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে মেহতাবের উপর চড়াও হন তাঁরা। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন মেহতাব।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীকে বাঁচাতে এসে জখম হন মৌমিতা দাস। তবে কোনমতে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় মেহতাব আলমের দুই সন্তান। এরপর স্থানীয়রা এসে পৌঁছালে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পাওয়া মাত্র রাতেই ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। রাতভর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে সকাল পর্যন্ত ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মেহতাব আলমের ভাগনা আফতাব হোসেন সহ ছয়জনকে আটক করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিহারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মেহতাব আলমের দুই সন্তান। পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যেও। অন্যদিকে মেহতাব আলমের স্ত্রী মৌমিতা দাস বর্তমানে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

Previous articleক‍্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ম‍্যাচ জিতে বোলারদের প্রশংসায় ভারত অধিনায়ক
Next articleএবার বোর্ডের মুখে হরমনপ্রীত, নেওয়া হতে পারে কঠোর ব‍্যবস্থা