অধ্যাপক নিয়োগে ভিনরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চান রাজ্যপাল, পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি ব্রাত্যর

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন, “উচ্চশিক্ষায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। আমরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।”

নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ফের কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক নিয়োগের জন্য বিশেষজ্ঞ রাজ্যের বাইরে থেকে আনা হবে।’ পাল্টা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন, “উচ্চশিক্ষায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। আমরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।”

রাজ্যপাল এদিন বলেন, “আজ আমাদের একটা ভাল বৈঠক হয়েছে। দুজন উপাচার্য বাইরে থেকে এসেছেন গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশ থেকে। শিক্ষাতে যে পেন্ডিং ইস্যুগুলো ছিল, তা নিয়ে আলচনা হয়েছে। শূন্যপদগুলো পূরণ করব, যে অধ্যাপক নিয়োগ করার প্রয়োজন আছে। নিয়োগ হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে। পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না আমি। আমি নিজে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এর ফাইলে সই করেছি। খুব বেদনা নিয়ে। তাই আমি বলে দিয়েছি নিয়োগ নিয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে।”

সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় কেন্দ্রের প্রথম বৈঠক হয়। সল্টলেকে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে হয় এই বৈঠক। সেখানে আচার্য বোস বার্তা দেন, কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে অধ্যাপক নিয়োগ হবে।

রাজ্যপাল আরও বলেন, “অধ্যাপক নিয়োগের জন্য বিশেষজ্ঞ রাজ্যের বাইরে থেকে আনা হবে। উপাচার্যারাই আমাকে বলেছেন, আমি সেটায় সিলমোহর দিয়েছি। রাজভবনে পিস রুম চালু আছে।আমরা আমনে-সামনে (মুখোমুখি) প্রোগ্রামের শুরু করছি। যে কোনও বিষয়ে স্কুল- কলেজ পড়ুয়ারা রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলা যাবে। শুধু একটা ফোন করলেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করা যাবে।’’ সেই সঙ্গে রাজ্যপাল জানান, ‘বেস্ট অ্যান্ড ব্রাইটেস্ট অ্যামং দ্য স্টুডেন্টস’-রা রাজ্যপালের ‘ডায়মন্ড গ্রুপ’-এ যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনে কোনও রকম হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করব না। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার আছে, তাই নিয়ে পদক্ষেপ হবে। ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, “এখানে খুব কম ফ্যাকল্টিদের ইমপ্রুভমেন্ট এর জায়গা দেওয়া হয়।এখানে অনেক এম্বাসেডর আছে।অনেকেই আদানপ্রদান প্রোগ্রাম করতে চায়। সিন্ডিকেট, কোর্ট, কাউন্সিল এর সব সদস্য দের নিয়ে নিয়োগ করা হবে দ্রুত। রাজভবন একটা নতুন প্রোগ্রাম করেছে। যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবেন।আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ হবে। তৈরি হচ্ছে অ্যাকাডেমিক-ইন্ডাস্ট্রি কমিটিও। তাঁর কথায়, সরকার, স্টেক হোল্ডাররা একসঙ্গে কাজ করবে।”

তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লড়াইয়ের জায়গা নয় তাহলে ছাত্ররা সমস্যায় পড়বে। সরকার, রাজ্যপাল সবাই সহযোগিতা করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। শিক্ষামন্ত্রী যা বলছেন তা নিয়ে বলতে চাই যেটা হয়ে গেছে, সেটা হয়ে গেছে। এটা খুব বেদনার জায়গা একজন মন্ত্রী দুর্নীতিতে জড়িত।”

পাল্টা ব্রাত্য বসু বলেন, “উচ্চশিক্ষায় নজিরিহীন হস্তক্ষেপ হচ্ছে। বিরোধী পক্ষকেও বলব নজিরবিহীন হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে নির্বাচিত সরকারের পাশে থাকুন। রাজ্যপাল এই স্বৈরাচার চালাতে পারেন কিনা তা জানতে আমরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।”

 

 

Previous articleকলকাতা লিগে দুরন্ত জয় ইস্টবেঙ্গলের, উয়াড়িকে উড়িয়ে দিল ৫-০ গোলে
Next articleডোন্ট টক লাইক রাবিশ: বিধানসভায় শুভেন্দুকে কড়া সুরে ধমক মমতার