কলকাতা লিগে দুরন্ত জয় ইস্টবেঙ্গলের, উয়াড়িকে উড়িয়ে দিল ৫-০ গোলে

লাল-হলুদের হয়ে জোড়া গোল অভিষেক কুঞ্জমের। একটি করে গোল দীপ সাহা, তন্ময় দাস এবং আমন সিকের।

কলকাতা লিগে দুরন্ত জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। এদিন ঘরের মাঠে উয়াড়িকে ৫-০ গোলে হারিয়ে দিল বিনু জর্জের দল। লাল-হলুদের হয়ে জোড়া গোল অভিষেক কুঞ্জমের। একটি করে গোল দীপ সাহা, তন্ময় দাস এবং আমন সিকের।

ম‍্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝাপায় ইস্টবেঙ্গল। পাল্টা আক্রমণ চালায় উয়াড়িও। প্রথমার্ধে এগিয়ে যেতে পারত তারাও। তবে পেনাল্টি মিস করেন লালনসাঙ্গা। মাঝ বরাবর শট করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র ঝাঁপিয়ে বল বাঁচান। ২৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে বসেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার। তবে সেখান থেকে বিপদে পড়তে হয়নি লাল-হলুদকে। এরপর একের পর এক শট করতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। ৩০ মিনিটে সঞ্জীব ঘোষের শট বারে লাগে। তার আগে গুরনাজের শটও বারে লাগে। প্রথমার্ধে বারেবারে আক্রমণে উঠে এলেও গোল করতে পারছিল না লাল-হলুদ। উৎকণ্ঠায় ছিলেন সমর্থকরা। প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে কি ম্যাচ জিততে পারবে না ইস্টবেঙ্গল?  আক্রমণের ঝাঁজ বেশি থাকলেও কাজের কাজ হচ্ছিল না। যার ফলে প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন‍্য।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় লাল-হলুদ। যার ম‍্যাচের ৫৩ মিনিটে গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের হয়ে ১-০ করেন দীপ সাহা। গুনরাজের ক্রস থেকে সহজেই গ্রাউন্ডার শটে গোল করে যান দীপ। ৬৬ মিনিটে অভিষেক কুঞ্জম সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। একা গোলরক্ষককে পেয়েও জালে বল ঠেলতে পারেননি তিনি। ৭০ মিনিটে ২-০ এগিয়ে যায় লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন তন্ময় দাস। তিন ফুটবলারকে একসঙ্গে কাটিয়ে জালে বল ঠেলে দেন তন্ময়। প্রথমার্ধে উয়াড়ি অনেকটাই ভালো ফুটবল খেলছিল। মনে করা হচ্ছিল, এমন ডিফেন্স ভেঙে গোল করা সহজ হবে না লাল-হলুদ ফুটবলারদের জন্য। ইনজুরি টাইমের আগে অবধি ফল ২-০-ই ছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরে ফের জ্বলে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। তিনটি গোল করে ৫-০ গোলে জয় পায় ইস্টবেঙ্গল। ইনজুরি টাইমে প্রথম গোল করেন অভিষেক কুঞ্জম, দ্বিতীয় গোল করেন আমান সিকে। ফাঁকায় বল পেয়ে বাঁদিকে টোকা মেরে গোল করেন তিনি। শেষ গোলটাও করেন অভিষেক। দারুণ ফুটবল খেলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।

আরও পড়ুন:মিডল অর্ডারে ব‍্যর্থ সূর্যকুমার, এখনই ভরসা হারাতে নারাজ দ্রাবিড়

Previous articleশনির দশা কাটছে না! ফের বড় বিপাকে লালুর পরিবার  
Next articleঅধ্যাপক নিয়োগে ভিনরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চান রাজ্যপাল, পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি ব্রাত্যর