সং.ঘর্ষে দীর্ণ শৈশব! গু.লি-ব.ন্দুক-যু.দ্ধের কথায় খাতা ভরছে খুদেরা

হিংসা, রক্ত, হানা- সব মিলিয়ে আতঙ্কের প্রহর গুণছে মণিপুর (Manipur)। কেন্দ্রের উদাসীনতায় থামছে না অশান্তি। এই পরিস্থিতিতে সর্বস্ব হাকিয়ে অনেকরই স্থান হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। সেখানেই চলছে ছোটদের লেখাপড়া। আর সেই খুদে পড়ুয়াদের (Student) খাতা দেখে শিউরে উঠছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নিজেদের পছন্দের তালিকায় তারা লিখছে রাইফেলের কথা। প্রায় সবারই ইচ্ছা বড় হয়ে গুলি-বন্দুক চালোনা শিখতে, যুদ্ধ করতে।

হিংসা দীর্ণ মণিপুরে শৈশবের ভরসা ফেরাতে, তাদের বইমুখী করতে ত্রাণ শিবিরগুলিতে বিশেষ শিক্ষা অভিযান শুরু করেছেন ৪৩ জন সদস্য। সেখানে কে কী হতে চায় জানতে চাওয়া হলে ৮-৯ বছরের খুদেরা লিখছে, “বড় হয়ে যুদ্ধ করতে চাই”। যা দেখে চমকে গিয়েছেন সদস্যরা। সংঘর্ষের আবহে শৈশবের সারল্য, রঙিন স্বপ্ন হারিয়ে ফেলা শিশুদের (Children) মানসিকভাবে শান্ত করতে কাজে নেমেছে ‘সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড রিজুভেনেশন অব এডুকেশন’ বা STARE। প্রকল্পের অধিকর্তা অমৃতা থিংগুজাম জানান, আপাতত শিশুদের মানসিকতা পরিবর্তনে মন দিয়েছেন তাঁরা। লেখাপড়ার পাশাপাশি, খেলাধুলোর আয়োজন করে শিশুদেক মূল স্ত্রোতে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

একই সঙ্গে চোখের সামনে বাড়ি-ঘর, প্রিয় খেলনা হারিয়ে, প্রিয়জনের রক্ত দেখে ছোটদের মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা জেগে উঠছে। ডাক্তার, শিক্ষক বা পুলিশ হতে চায় না কেউ। খেলনা চাই না কারও। হারানো সবকিছু ফিরে পেতে তারা চাইছে রাইফেল হাতে তুলে নিতে। এই মারাত্মক প্রবণতা থেকে শিশুদেক মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে স্টার।

আরও পড়ুন:বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি! বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন মৎস্যজীবীরা

 

 

 

Previous articleবঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি! বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন মৎস্যজীবীরা
Next articleমোদির পুরস্কার মঞ্চে হাজির শরদ! পাওয়ারের কাণ্ডে বিস্মিত বিরোধীরা