হরিয়ানায় ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অশা.ন্তি! বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইন্টারনেট পরিষেবা

হরিয়ানায় ধর্মীয় শোভাযাত্রা ঘিরে অশান্তির জেরে মঙ্গলবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১ অগস্ট, মঙ্গলবার গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদের সমস্ত স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ মেনে চলার কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার সঙ্গে ফের বাড়ছে কো.ভিড উদ্বেগ! বর্ধমানে ২ আক্রান্তের মৃ.ত্যু

সোমবার রাত থেকে হরিয়ানার একাংশ বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। গুজব ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিস্তীর্ণ এলাকায় রাত থেকে টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও থমথমে গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদের মতো এলাকা।
গুরুগ্রাম এবং মূল ঘটনাস্থল নুহ(মেওয়াট) জেলায় সোমবার রাত থেকেই ১৪৪ ধারা জারি। নুহ্‌তে ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অশান্তির কারণে দুই হোমগার্ড-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। হোমগার্ডদের গুলি করে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে অশান্তির আঁচ ছড়ায় গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদের মতো এলাকাতেও। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবারের সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে অনেকেই পুলিশকর্মী।
বুধবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছে। গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদের প্রশাসন পৃথক ভাবে বিবৃতি জারি করে জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কড়া নির্দেশ দিয়েছে। সংঘর্ষের স্থানে বিশাল আধাসামরিক বাহিনী এবং হরিয়ানা পুলিশের এসটিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। ডিজিপি নিজে গোটা ঘটনার তদারকি করছেন।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ রাজ্যের মানুষকে শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করেছেন। দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।

Previous articleকেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি কি মানা হয়েছে? উত্তরে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
Next articleবঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি! বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন মৎস্যজীবীরা