তিলজলায় ব্যবসায়ী অপহর*ণকাণ্ডে সাসপেন্ড পুলিশকর্মী ! কেন?

প্রতীকী ছবি

তিলজলায় ব্যবসায়ী অপহরণ কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে ততই হদিশ মিলছে বড় চক্রের। এবার এই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল এসটিএফের এসআইকে। শুধু সাসপেন্ড নয়, প্রমাণ জোগাড় করে ওই পুলিশ কর্মীকে জেরা করতেই বয়ানে অসঙ্গতি মিলেছে বলে খবর। এরপরই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই পুলিশকর্মীকে। যদিও পুলিশের তরফে গোটা ঘটনায় ওই এসআইয়ের ঠিক কী ভূমিকা ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুনঃ রবিবার ফের হাওড়া-বর্ধমান শাখায় একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল রেলের, প্রভাব শিয়ালদহ শাখায়

গত বৃহস্পতিবার রাজমুল সেখ ওরফে রাজু নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। ফারাক্কার বাসিন্দা তিনি। প্রথমে ডিটারজেন্টের ব্যবসা করতেন। পরে চিনার পার্কের এক ব্যক্তির কথায় ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যাবসা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার তিলজলার কাছে একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজমূলের আত্মীয়রা। অপহরণকারীরা ফোনে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে অভিযোগ। এরপরই তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন দিঘা থেকেই মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়।


গোয়েন্দা পুলিশরা দিঘায় হানা দিয়ে অপহৃত ব‌্যক্তিকে উদ্ধার করে কলকাতায় নিয়ে আসেন। দিঘা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার হজাওড়া থেকে মম্মদ ইমরান নামে আরও একজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করে পুলিশ। ইমরান ফারাক্কার বাসিন্দা। অপহরণকারীদের মধ্যে মূলপাণ্ডা আলকাস খান। লালবাজার জানায়, ক্রিপ্টোকারেন্সির টাকা নিয়ে বিবাদ থেকে ব‌্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। আলকাস রাজমুলকে ব্যবসার জন্য ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু রাজমুল সেই টাকা আর ফেরত দিচ্ছিল না। সেজন্য তাঁকে অপহরণের ছক কষে। তদন্তে নেমেই ঘটনার সঙ্গে এসটিএফের এক এসআই-এর যোগ রয়েছে বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার গোটা রাত তাকে জেরা করা হয়। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, চক্রান্তকারীদের মধ্যে একজন পুলিশকর্মী।

Previous articleহাওড়ার গড়চুমুকে নদীর চরে ধাক্কা পণ্যবাহী জাহাজের!
Next articleকরমণ্ডল এক্সপ্রেস দু.র্ঘটনার দু’মাস পার! এখনও এইমসে দাবিহীন ২৯ দেহ