স্থিতিশীল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য,হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকায় রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত

আগের থেকে অনেকটাই ভালো আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার রাতে তাঁর শারিরীক অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকায় তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১০-এর কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কারণ, এই সমস্যায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখাটা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। আর এ জন্য আপাতত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে এক ইউনিট রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।বুধবার সকাল ১২টায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্দিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠকে বসবে।

আরও পড়ুনঃস্থিতিশীল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরানোর ভাবনা চিকিৎসকদের

হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবারও বুদ্ধদেবকে রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। তাঁর সোডিয়াম-পটাশিয়াম মাত্রা ঠিক রয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিকও চলছে। যার জেরে তাঁর কিডনিতে প্রভাব পড়তে পারে। ভেন্টিলেশন থেকে বুদ্ধদেবকে বার করার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর ক্রিয়েটিনিন আগের থেকে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাঁচ দিনের অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ চলছে। মঙ্গলবার চিকিৎসকদের সঙ্গে অল্প কথাও বলছেন।এমনকি বাইপ্যাপ খুলে দিলেই নিজের শারিরীক সমস্যার কথা বলতে পারছেন।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাইপ্যাপ সাপোর্ট বারবারই খুলে ফেলতে চাইছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাক্তারদের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘‘আমাকে এ বার ছেড়ে দিন।’’

চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন, একটানা অনেক ক্ষণ বাইপ্যাপ সাপোর্ট রাখতে হচ্ছে না। মাঝেমাঝেই তা খুলে দেওয়া হচ্ছে। সেই সময় নিজে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারছেন। রাতে বুদ্ধদেবের সঙ্গে ছিলেন তাঁর সঙ্গী তপনবাবু। তাঁর সঙ্গেও কথা বলছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে পুরোপুরি বিপন্মুক্ত নন তিনি। এখন ৫-৬ ঘণ্টা বাইপ্যাপ চলার পর কিছু ক্ষণ বিশ্রাম দিয়ে আবার চালানো হচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখন সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। ন্যূনতম অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে। রাইলস টিউব দিয়ে তরল খাবারই দেওয়া হচ্ছে বুদ্ধদেবকে।
প্রসঙ্গত, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে চিরকালই অনীহা প্রকাশ করে এসেছেন বুদ্ধদেব। গুরুতর অসুস্থ হলেও তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে চান বরাবর। গত শনিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সামান্য সুস্থ হতেই তিনি পাম অ্যাভিনিউয়ের সরকারি ফ্ল্যাটে ফেরার কথা বলতে শুরু করেছেন।

 

 

Previous articleমণিপুর নিয়ে মোদিকে চাপে রাখতে আজই রাষ্ট্রপতির সাক্ষাতে INDIA জোট
Next articleরাতভর বৃষ্টিতে রেললাইনে ধস, ব্যাহত শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখার ট্রেন চলাচল