লোকসভায় পেশ ‘বিতর্কিত’ ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল! বিবেচনার দাবিতে সরব বিরোধীরা

বিরোধীদের তরফে আরও অভিযোগ, আচমকা তথ্য সুরক্ষা বিলটিকে গায়ের জোরে অর্থ বিলের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এরপরই এদিন একযোগে বিলটির বিরোধিতায় সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, ডিএমকে সহ ইন্ডিয়া জোটভুক্ত দলগুলি।

বৃহস্পতিবার লোকসভায় (Loksabha) পেশ হল বহু বিতর্কিত ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল (Data Protection Bill)। তবে এদিন এই বিল নিয়ে বিস্তারিত কোনও আলোচনা করা হয়নি। বিরোধী সাংসদদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যে বৃহস্পতিবার লোকসভায় এই বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তবে বিরোধীদের দাবি, এই বিল নাগরিকদের গোপনীয়তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। আর সেকারণেই বিলটি বিবেচনার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানানো হয়।

বিরোধীদের তরফে আরও অভিযোগ, আচমকা তথ্য সুরক্ষা বিলটিকে গায়ের জোরে অর্থ বিলের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এরপরই এদিন একযোগে বিলটির বিরোধিতায় সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, ডিএমকে সহ ইন্ডিয়া জোটভুক্ত দলগুলি। যদিও অশ্বিনী বৈষ্ণব লোকসভায় বলেন, বিলটিকে অর্থবিল হিসেবে পেশ করা হয়নি। অন্যদিকে, বিরোধীদের তরফে পুত্তুস্বামী মামলার প্রসঙ্গ তুলে বিলটিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানান।

বিরোধীদের দাবি, বিলটি পাস করার আগে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন কারণ, এর সঙ্গে গোপনীয়তার মৌলিক অধিকার যুক্ত রয়েছে। লোকসভায় বিলটি পেশ করার পরেই এর তীব্র বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি ও মিম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তাঁদের অভিযোগ, এই বিলটি সংবিধানে বর্ণিত ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের মৌলিক ধারণাকে লঙ্ঘন করছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, গত বছর তথ্য সুরক্ষার উপর একটি বিল তুলে নিয়েছে সরকার আর নতুন বিলটি আরও খতিয়ে দেখা দরকার।

তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy) জানান, “সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যে বিল পাঠানো হয়েছিল, তার থেকে এই বিল অনেক আলাদা। এই বিলে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে।” কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ এবং তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বিলটিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানান। কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি বলেন, বিলটি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট আসার পর পুনরায় সেই বিলটি সভায় পেশ করা হয়। সেই বিলকে কখনই অর্থ বিল হিসেবে পেশ করা যায় না। গোপনীয়তার মৌলিক অধিকার খর্ব করায় বিলটি পুনরায় বিস্তারিত আলোচনা করার প্রয়োজন বলে জানান মণীশ তিওয়ারি। বিলটির বিরোধিতায় সরব হন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীও। অন্যদিকে, বিলটি নিয়ে ভোটাভুটির দাবি জানান আসাউদ্দিন ওয়াইসি।

 

 

 

Previous article“নেতারা আসলে সবাই বড় মাপের অভিনেতা”, টলিউডে পা রেখে বললেন মদন
Next articleকারিগরী শিক্ষা ও দক্ষতা দফতর খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি! বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন