নানা টানাপোড়েনের মধ্যে লোকসভায় পাশ হয়ে গেল দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল শাসন সংশোধন বিল বা দ্য গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লি (সংশোধন) ২০২৩। এটি দিল্লিবাসীকে ক্রীতদাস বানানোর বিল- টুইটে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বৃহস্পতিবার, লোকসভায় বিলটিকে নিয়ে আলোচনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত করার অভিযোগে সরব হয় INDIA। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালদের ভূমিকা, মণিপুর ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা।

INDIA শিবিরের বক্তব্য, একদিকে যেমন এই বিল রাজ্যের অধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক, তেমনই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা বকেয়া রেখে দিয়ে এমন একটি বিল পাশ করানো অসাংবিধানিক এবং অসংসদীয়। বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় অসংসদীয় শব্দ ব্যবহারের অভিযোগে লোকসভা থেকে অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হয় আপ সাংসদ সুশীলকুমার রিঙ্কুকে। সংসদের নিম্নকক্ষে বিলটি (Bill) পাশ হওয়ার পরই ওয়াক আউট করেন বিরোধী সাংসদরা। বুধবার, বিলটি নিয়ে লোকসভায় আলোচনার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী না থাকায় আলোচনা হয়নি।
দিল্লির আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির রাশ কার হাতে থাকবে এই নিয়ে জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। গত ১১ মে শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মত ভাবে জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিল্লির নির্বাচিত সরকারের রয়েছে। যদিও পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা এবং ভূমি দফতর সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতেই থাকবে। গত ১৯ মে আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অর্ডিন্যান্স জারি করে মোদি সরকার। দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উপরাজ্যপালের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই বিলে। এদিন বিলটি পেশ করতে গিয়ে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কথা তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিলটির বিরোধিতা করে কংগ্রেস। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা পাঠিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ তোলেন ডিএমকে।

তৃণমূলের তরফে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল নিয়ে বক্তব্য রাখেন লোকসভার মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত করার অভিযোগ তোলেন তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার লক্ষ্যেই এই বিল আনা হয়েছে।” তাঁর মতে, “রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের নিচে বা অধীনস্থ নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ধারণা, ধাঁচা সমস্ত রাজ্য এবং দিল্লিতেও প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ রয়েছে সংবিধানে।” দিল্লি সরকারের থেকে ক্ষমতা পুরোপুরি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কল্যাণ। তাঁর মন্তব্য, “এই বিল দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে শেষ করে দিচ্ছে।” কেন অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালরা এত সক্রিয়, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালরা সক্রিয় নন কেন? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ।


জবাবি ভাষণে অমিত শাহ দিল্লি বিলের থেকে বেশিরভাগ সময় ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি জানান, এই বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পর এমনিতেই জোট থেকে বেরিয়ে যাবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই বিল প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটারে লিখেছেন, ‘‘বিলটিকে সমর্থনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একটিও যথার্থ যুক্তি নেই। ওরাও জানে যে, ভুল করছে। এটা দিল্লিবাসীকে ক্রীতদাস করার বিল। মানুষকে অসহায় করবে এই বিল। ‘INDIA’ তা কখনওই মেনে নেবে না।’’

आज लोक सभा में अमित शाह जी को दिल्ली वालों के अधिकार छीनने वाले बिल पर बोलते सुना। बिल का समर्थन करने के लिये उनके पास एक भी वाजिब तर्क नहीं है। बस इधर उधर की फ़ालतू बातें कर रहे थे। वो भी जानते हैं वो ग़लत कर रहे हैं।
ये बिल दिल्ली के लोगों को ग़ुलाम बनाने वाला बिल है। उन्हें…
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) August 3, 2023