অ.শান্ত মণিপুরে এবার সরকারি আধিকারিকের গাড়িতে হাম.লা

অশান্তি থামছেই না মণিপুরে। এবার রাজ্যের রাজধানী খোদ রাজধানী পার্শ্ববর্তী শহর গুরুগ্রামে হিংসার আগুন জ্বলছে। এই অগ্নিগর্ভ অবস্থা ক্রমশ কঠিন হচ্ছে নুহ, গুরুগ্রামের মতো জায়গায়। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এরমধ্যেই নুহে একজন অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা।

আরও পড়ুনঃ৮৪৪টি পদে সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগ, জোর গবেষণায়: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে সেই জেলায় একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের হয়েছিল। ওই একই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জলি জৈনের গাড়ি। অঞ্জলি ও তাঁর তিন বছরের কন্যাসন্তান গাড়িতেই ছিল। সরকারি আধিকারিকের গাড়ি দেখামাত্রই শোভাযাত্রা ছেড়ে তা ঘিরে ধরে সকলে। এরপর তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তবে কোনওমতে গাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে প্রাণে বাঁচেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট। মঙ্গলবার ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর সিটি নুহ থানার পুলিশ এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।

শুধু তাই নয়, সরকারি আধিকারিককে দেখে তাঁদের দিকে ঢিল, পাথরও ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা বলে অভিযোগ। কোনওমতে সেখান থেকে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে এসে নুহের পুরনো বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ওয়ার্কশপে আশ্রয় নেন অঞ্জলিদেবী। পরে কয়েকজন আইনজীবী তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে এফআইআরে অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “ওই উন্মত্ত জনতার দল তাঁদের দিকে ঢিল ছুড়ছিল। কিন্তু তা গায়ে লাগেনি। গাড়ির পিছনের কাছে পাথরের আঘাত রয়েছে।”

তাঁর আরও অভিযোগ, “আমাদের দেখতে পেয়েই অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে শুরু করে। কোনওরকমে সেসময় আমরা চারজনই গাড়ি ফেলে পালাই। আমি, আমার মেয়ে, গাড়ির চালক ও একজন দেহরক্ষী একটি পুরনো ওয়ার্কশপে গিয়ে লুকিয়েছিলাম। পরে কয়েকজন উকিল আমাদের উদ্ধার করে। মঙ্গলবার গাড়ির খোঁজ করতে গিয়ে শুনি, তাতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Previous articleজিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত! দামি হচ্ছে অনলাইন গেম! ক্যাসিনোর ওপর ২৮ শতাংশ GST
Next articleরামরাজাতলা স্টেশনে যাত্রী বি.ক্ষোভ,তিন ঘণ্টা থমকে ট্রেন চলাচল