চাপে পড়ে সুর বদল, দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ক্ষমাপ্রার্থী হুমায়ুন

দল বিরোধী মন্তব্যের পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল(TMC) ছেড়ে নতুন দল গঠনের। তবে বিদ্রোহ, বিক্ষোভ, হুঁশিয়ারি ছেড়ে এবার দলের প্রতি আস্থা রেখে ক্ষমাপ্রার্থী হলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির(Humayun Kabir)। একেবারে ১৮০ ডিগ্ৰি ইউটার্ন নিয়ে তৃণমূলের তিন সর্বোচ্চ নেতা-নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee), সুব্রত বক্সি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) ওপর আস্থা প্রকাশ করলেন হুমায়ুন। তৃণমূলের তরফে শোকজ করা হয়েছিল এই বিধায়ককে। সেই শোকজের জবাবি পত্রেই নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইলেন তিনি।

মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি তিন দলই করেছেন তিনি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর খুব একটা বিদ্রোহ চোখে পড়েনি। তবে শাওনী সিংহ রায়কে জেলা সভাপতি করার পর থেকে বেঁকে বসা শুরু করেন হুমায়ুন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে অন্তোষ থেকে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে সওয়াল করা, শেষমেশ শোকজ পেয়ে নয়া দল গড়ার হুমকি দেন বিদ্রোহী নেতার। এরপরই হুমায়ুনের বিরুদ্ধে তৎপর হয় তৃণমূল। শোকজ করা হয় তাঁকে। এরপরই ১৮০ ডিগ্ৰি পাল্টি খেয়ে দলের কাছে মাথা নত করলেন বিধায়ক।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের শোকজ পত্রে দলের কাছে ক্ষমাই চেয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের তিন সর্বোচ্চ নেতা-নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে, এমনটাও জানালেন। পাশাপাশি মিডিয়ার সামনে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনাও করেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। তবে জেলার যে সাংগঠনিক সমস্যা নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি যে সরে আসছেন না সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর আশা ভবিষ্যতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর আবেদন বিবেচনা করে দেখবে।

Previous articleবেহালার ছাত্রমৃ.ত্যুর ঘটনায় ক্ষু.ব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব
Next articleবুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্বাস্থ্যের আরও উন্নতি, কবে ছাড়া পাচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?