রাজ্যপালের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকী, তাঁকে মাথা হেঁট না করার পরামর্শ দিলেন তিনি।কটাক্ষ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাজ্যপালকে বেশি হেঁট হতে বারণ করুন, মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার সময় যেন আবার সানগ্লাস না পড়ে যায়!” রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর এমন কটাক্ষকে ঘিরে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ঘটনার সূত্রপাত, মঙ্গলবার। রাজ্যপাল সিভিআনন্দ বোস বলেন, এখনকার বাংলা সেই বাংলা নয়। বাংলায় ঘটে চলা দুর্নীতি এবং হিংসার ঘটনার জন্য লজ্জায় তাঁর মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। রাজ্যপাল বলেন, “লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। তবে অনেক দেরি হওয়ার আগে মানুষ চায় দুর্নীতি ও হিংসা শেষ হোক।”
এরপরই পাল্টা বক্তব্য রাখা হয় শাসক শিবির থেকে।স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জানিয়ে দেন রাজ্যপালের এমন মন্তব্যে একান্তই তাঁর নিজের। তিনি তার সঙ্গে তিনি একমত নন। এরপরই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কটাক্ষ, “বেশি হেঁট হতে বারণ করুন, মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার সময় যেন আবার সানগ্লাস না পড়ে যায়!”
রাজ্য বনাম রাজভবনের সংঘাত এর আগেও দেখতে অভ্যস্ত এরাজ্য।অতীতে কংগ্রেস কিংবা বাম জমানাতেও একাধিক নজির রয়েছে।কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে সম্প্রতি রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত তুঙ্গে পৌঁছয়।শাসকদল থেকে অভিযোগ করা হয়, রাজ্যপাল বিজেপির ক্যাডারের মতো আচরণ করছেন।রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগে আদালতেও গিয়েছিল রাজ্য। বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যপালের এই হস্তক্ষেপের ঘটনায় সম্প্রতি আগের রাজ্যপাল ধনকড়ের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে এমনও বলতে শোনা গিয়েছিল, “ধনকড়ও এমন করতেন না!”তারপরেও বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন রাজ্যপাল।