রাহুলে ‘গরম’ স্মৃতিতে ‘নরম’: ‘হ.ত্যা’ শব্দে সংসদে ‘পক্ষপাত’ স্পিকারের!

অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় নিজের বক্তব্যে ‘হত্যা’ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন কংগ্রেস(Congress ) সাংসদ রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। তাঁর এই মন্তব্য লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিয়েছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা(Om Birla)। তবে সেই একই শব্দ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্মৃতি ইরানি ব্যবহার করলেও ছাড় দেওয়া হলো তাঁকে। লোকসভার কার্যবিবরণীতে স্মৃতি ইরানের ব্যবহৃত ‘হত্যা’ শব্দ রেখে দেওয়ার ঘটনাকে পুরোপুরি পক্ষপাতিত্ব হিসেবে দেখছে কংগ্রেস। এই মর্মে বৃহস্পতিবার স্পিকারকে একসঙ্গে তিনটি চিঠি পাঠিয়েছে কংগ্রেসের লোকসভার সংসদীয় কমিটি।

কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির তিন চিঠির প্রথমটিতে রাহুলের বক্তৃতায় হত্যা শব্দ বাদ দেওয়া নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে রাহুল এই শব্দ ব্যবহার করেছেন দেশের ‘গণতন্ত্র হত্যা’র প্রসঙ্গে। এখানে হত্যা শব্দটি মুছে দিলে বাক্যটি নিরর্থক হয়ে যাবে। তাই শব্দটি বিবেচনা করে দেখার আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে, ১১৫ (৩) ধারায় স্পিকার কোনও সাংসদের কাছে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইতে পারেন। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে সেই ধারার প্রয়োগ করতে হলে স্পিকারের উচিত রাহুল ও স্মৃতি দু’জনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া— ঘুরপথে সে কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয় সংসদ টিভির বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির দাবি, লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার সম্প্রচারের ক্ষেত্রে পক্ষপাত করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর ৩৭ মিনিট বক্তৃতা দেখেছেন কিন্তু তার বক্তৃতায় তাঁকে দেখানো হয়েছে মাত্র ১১ মিনিট। বাকি সময়ের ছবিটা ছিল সংসদের ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে। এ পাশাপাশি মনিপুর প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়েছে সংসদে এই বিষয়ে আলোচনার কোনও সদিচ্ছা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। এ ক্ষেত্রে তারা আলোচনার ধারার উল্লেখ করে সরকারের এমন অবস্থানের জন্য দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

Previous articleব্যর্থ বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার! মণিপুর ইস্যুতে মোদি-শাহকে ধুয়ে দিলেন মহুয়া
Next articleকলকাতা লিগে দুরন্ত জয় মোহনবাগানের, FCI-কে হারাল ৫-০ গোলে