রয়েছে ‘ভাড়ার শিক্ষক’, যোগীরাজ্যে স্কুলে না গিয়েই মাইনে নেন BJP বিধায়কের স্ত্রী

পেশায় সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। তবে স্কুলে তাঁর পা পড়ে না কোনওদিন। মাসে একবার এসে হাজিরার খাতায় গোটা মাসের সাক্ষর করে যান দেশপ্রাচী চক্রবর্তী(Deshprachi Chakrabarty)। তবে কারও কিছু বলার সাধ্য নেই কারণ তাঁর স্বামী বিজেপির বিধায়ক(BJP MLA)। যদিও কিছু টাকার বিনিময়ে এক তরুণীকে ভাড়া করে রেখেছেন দেশপ্রাচী। সে পড়িয়ে দিয়ে আসে স্কুলে। যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের(UttarPradesh) এহেন ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের বিজেপি বিধায়ক মনোজ প্রজাপতির স্ত্রী দেশপ্রাচী চক্রবর্তী। ইনি একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। ঘটনাচক্রে, যে স্কুলে তিনি চাকরি পেয়েছেন, সেই স্কুলটি আবার প্রজাপতির পৈতৃক গ্রামেই। ওই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত দেশপ্রাচী। তবে স্কুলে তাঁকে দেখা যায় মাসে একদিন, তাও আবার সারা মাসের নাম সই করার জন্য। নিজের পরিবর্তে গ্রামেরই এক তরুণীকে মাসে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ‘ভাড়া’ রেখেছেন বিধায়ক-পত্নী। সেই তরুণীই স্কুলে দেশপ্রাচীর জায়গায় হাজিরা দেন, ক্লাসও নেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রজাপতি বিধায়ক হওয়ায় এলাকায় দেশপ্রাচীর দাপট বেড়েছে। তাই স্কুনে না এসে মাইনে নেন। স্কুলেরই প্রধানশিক্ষক পুষ্পা সচান দাবি করেছেন, বিধায়ক-পত্নী মাসে এক বার আসেন। সারা মাসের হাজিরার স্বাক্ষর করে চলে যান। গ্রামের এক তরুণী শ্রেয়া সচানকে পড়ানোর দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়ারাও দাবি করেছে, দেশপ্রাচী ম্যাডাম মাসে এক বার আসেন স্কুলে। কিছু ক্ষণ থাকার পর বেরিয়ে যান। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের এক শীর্ষ আধিকারিক অলোক সিং জানিয়েছেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তা হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।