সুস্থতা কামনায় বুদ্ধদেবকে লাল গোলাপ পাঠালেন কুণাল, সৌজন্যে আপ্লুত মীরা জানালেন “ধন্যবাদ”

বুদ্ধবাবুর শারীরিক পরিস্থিতির বিচার করেই সেখানে বেশিক্ষণ বসতে চাননি পার্থ। রাজনীতিতে সবসময়ই সৌজন্য দেখায় তৃণমূল। কুণালের এই শুভেচ্ছা বার্তা সেই ধারাকেই বহন করে।

সৌজন্যের চূড়ান্ত নিদর্শন। সঙ্কটজনক পরিস্থিতি কাটিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Budhadeb Bhattacharya) শুভেচ্ছা জানিয়ে লাল গোলাপ (Red Roses) পাঠালেন তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সঙ্গে বুদ্ধবাবুর প্রিয় বই ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের সিডি।

অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তাঁর আরোগ্য কামনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক মতামত ব্যক্ত করেছিলেন। তা নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ে কিছু Pseudo বামপন্থীরা। এর পরেই পুরনো দিনের ছবি পোস্ট (Post) করে তৃণমূল মুখপাত্র স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর কীরকম সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগেই বুদ্ধদেবের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা হওয়া, বুদ্ধবাবু কেমন আছেন তা জানতে চান কুণাল।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার খবর পেয়েই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এবার বাড়িতে পাঠালেন ফুল ও উপহার। কুণাল ঘোষের তরফ থেকে পার্থসারথি সাহা লাল গোলাপ, মোহন সিংয়ের রবীন্দ্র সংগীতের অ্যালবাম ‘বিশ্ব ভরা প্রাণ’ এবং কুণালের লেখা দুটি বই ‘রানি সাহেবা’ এবং ‘রাধাকৃষ্ণ’ নিয়ে পৌঁছন পাম অ্যাভিনিউ বাড়িতে। নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতেই সেই উপহার দিয়ে চলে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খবর পেয়ে তাঁকে ডেকে পাঠান বুদ্ধ-জায়া মীরা ভট্টাচার্য। তিনি এই সৌজন্যে আপ্লুত। বলেন, কুণালকে বলবেন এই সৌজন্যের জন্য আমাদের তরফ থেকে ধন্যবাদ। তবে, বুদ্ধবাবুর শারীরিক পরিস্থিতির বিচার করেই সেখানে বেশিক্ষণ বসতে চাননি পার্থ। রাজনীতিতে সবসময়ই সৌজন্য দেখায় তৃণমূল। কুণালের এই শুভেচ্ছা বার্তা সেই ধারাকেই বহন করে।