নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। সেখানে ১২টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছিল ছ’টি আসন। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে তৃণমূলেরই প্রধান হওয়ার কথা।শেখ সুফিয়ানের জামাই হাবিবুল প্রধান নির্বাচিত হন।কিন্তু তিনি অন্য দলের সহযোগিতা নিয়ে প্রধান হয়েছেন বলে অপপ্রচার শুরু হয়।এপ্রসঙ্গে শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন,নন্দীগ্রামে জেলা পরিষদে ১০হাজার৪৫৭ ভোটে তৃণমূল লিড করছে। শুভেন্দুর বিজেপি বিপুল পরিমাণ ভোটে পিছিয়ে থাকার জন্য তাল জ্ঞান হারিয়েছে। মহাম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে অপপ্রচার চলছে।রটনা চলছিল অন্য দলের সমর্থনেই প্রধান হয়েছে হাবিবুল।

তার দাবি, হাবিবুলের সঙ্গে অন্য কোনও দলের কোনও সম্পর্ক নেই। কারও সহযোগিতা হাবিবুল চাননি। সম্পূর্ণ নিজেদের জোরে তৃণমূল বোর্ড গঠন করেছে।কুণাল ঘোষ বলেন, কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই।ওই পঞ্চায়েতে প্রধান এবং উপপ্রধান দুজনেই তৃণমূলের।
এত লিখতে হচ্ছে, কারণ নন্দীগ্রাম বিধানসভায় @AITCofficial 10,457 ভোটে বিজেপির থেকে এগিয়ে আছে। তাই নিজের মুখরক্ষায় কথার জাগলারি চলছে শুভেন্দুর । https://t.co/zr2I6N8FvF
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 12, 2023
এদিন সুফিয়ান দাবি করেন, দেবব্রত মাইতি খুনের মিথ্যা মামলায় তাকে এবং তার জামাইকে ফাঁসিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির সঙ্গে আমার সংযোগ আছে এই অপপ্রচার করে আমার রাজনৈতিক কেরিয়ারকে নষ্ট করার একটা চক্রান্ত চলছে।তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে কোনও গাদ্দার নেতা ছিল না আমি নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। আদি ও নব্য বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল থেকে চোখ ঘোরাতেই এইসব অপপ্রচার করা হচ্ছে।

কুণাল বলেন, আগামী লোকসভায় তৃণমূল ২৫ হাজার ভোটে লিড করবে নন্দীগ্রামে। শুভেন্দু নিজে নন্দীগ্রাম সামলাতে পারছে না। মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান উপপ্রধান ছিল আছে এবং থাকবে।
