অবিভক্ত কংগ্রেসে ছাত্র রাজনীতি থেকে উত্থান। এরপর ধীরে ধীরে রাজনীতির মূল আঙিনায় প্রবেশ। এবং মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদীয় রাজনীতির নক্ষত্র হয়ে ওঠা। বাকিটা ইতিহাস। অনেক উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এখন নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। একটা সময়ে মূলত মধ্য ও উত্তর কলকাতায় তাঁর রাজনৈতিক সীমারেখা থাকলেও, বর্তমানে নিজের দক্ষতা যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে তাপস রায়ের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি আরও বিস্তৃত। একদিকে বিধানসভায় গুরু দায়িত্ব,অন্যদিকে
সাংগঠনিকভাবে দক্ষ ও অভিজ্ঞতার জন্য তাপস রায় এখন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব আছেন তৃণমূলের তরফে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত সৈনিক তাপস রায়।

তাঁর বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনের সুবর্ণজয়ন্তী অতিক্রম করলেন বরানগরের প্রিয় বিধায়ক তাপস রায়। বরানগর থেকে ভোটে দাঁড়ালেও মধ্য কলকাতার খুব প্রিয় নেতা তিনি। তাই তাপসবাবুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের মাইলস্টোনকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁরই ক্লাব বউবাজার একতা সংঘের তরফে সম্বর্ধনা ও সম্মান প্রদান করা হয় আজ শনিবার। সেই সঙ্গে রক্তদান শিবিরও।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়, রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রাজ্যসভার সংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, বর্ষিয়ান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রমুখ। এদিন সকলেই তাপস রায়ের লড়াকু মনোভাবের প্রশংসা করেন।

তবে দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তাপস রায়ের অনেক পাওয়া না পাওয়ার বেদনাও আছে। আছে অভিমান। কখনও সেই অভিমান দলের প্রতি। কিন্তু অভিমানী হয়েও তাপস রায় আজও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একনিষ্ঠ সৈনিকের মত তৃণমূলের ছাতার তলায় কাজ করে চলেছেন। বিষয়টি উত্থাপন করে কুনাল ঘোষ বলেন, “আমরা জানি তাপস রায়ের অনেক অভিমান, রাগ, ক্ষোভ আছে। কিন্তু নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে বলছি সময় সবকিছুকে বদলে দেয়। সময়ের অপেক্ষায় থাকতে হয়। আমারও অনেক বক্তব্য নিয়ে অনেক সময় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু সময়ের সাথে আজ আমি দলের মুখপাত্র, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। সর্বোপরি আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাপস রায়কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। তাপসদাও সেই দায়িত্ব অক্ষর অক্ষরে পালন করছেন।”
