Thursday, December 4, 2025

স্বপ্নদীপের শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁ.কা, যৌ.ন নির্যা.তনের প্রমাণ; দাবি শিশু সুরক্ষা কমিশনের

Date:

Share post:

যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যু নিয়ে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়স হওয়া যাদবপুর কাণ্ডে এবার মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে রানাঘাটে দেখা করলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা।
স্বপ্নদীপ ছিল নাবালক। তাই, ওই ছাত্রর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে পদক্ষেপ করল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। মৃত স্বপ্নদীপের বাড়ি্তে গেলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা।রাজাযপালের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও চিঠি পাঠিয়েছে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে, কী ভাবে এমন ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল ক্যাম্পাসে ঘটল, কোন কোন বহিরাগত ও প্রাক্তনী সেই সময়ে হস্টেলে ছিল?তাদের তালিকা এবং তাদের উপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে সিপি-র কাছে। একই সঙ্গে ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ কমিশন চেয়েছে পুলিশের কাছে। যদিও যাদবপুরের হস্টেলে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই।
শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চট্টোপাধ্যায় বলেন, মৃতের পরিবার তাদের জানিয়েছে, শরীরে ঘি মাখানোর সময় তারা সারা শরীরে অসংখ্য ছ্যাঁকার দাগ দেখতে পান।এই দাগগুলি সিগারেটের ছ্যাঁকা বলে তারা জাবনতে পেরেছেন। এমনকী ছাত্রটিকে যৌন নির্যাতনও করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে তিনি জানান।অমানবিকভাবে তাকে মারা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
শিশু কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা যাদবপুরের মেন হোস্টেলে যাব। সেখানে সিসিটিভি রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখব। রেজিস্টার খাতাও দেখা হবে। যদি সেখানে দেখা যায় সিসিটিভি নেই, রেজিস্টারে খাতা মেইনটেন হয় না, তাহলে সেটা অমার্জনীয় অপরাধ। সেগুলি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও রেয়াত করা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, যাদবপুর নিয়ে এর আগেও নানান অভিযোগ উঠেছে।কিন্তু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন সিসিটিভি নেই সেই প্রশ্নের উত্তর তারা জানতে চাইছেন।এমনকি যারা সিসিটিভির বিরুদ্ধে ছিলেন, এই ঘটনার পর তারা মুখ লুকানোর জা্য়গা পাচ্ছেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পাশাপাশি তিনি বলেন, ওর বয়স এখনও ১৮ হয়নি বলে আমরা জানতে পেরেছি। ফলে এটা পকসো আইনের আওতায় পড়ে। কিন্তু এটা যেহেতু এতদিন জানা ছিল না, তাই ওর নাম-পরিচয় সবই সামনে চলে এসেছে। কিন্তু আমাদের বিনীত অনুরোধ, এর পর থেকে যেন ওর নাম সামনে না আসে।’ অনন্যা চক্রবর্তী এদিন আরও বলেন, ‘তিন জন ছেলে গ্রেফতার হয়েছে এই ঘটনায়, খুব ভাল কথা। কিন্তু এত বছরের অনিয়মকে যারা প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে, সিসিটিভি লাগাতে দেয়নি, তারা সকলেই কিন্তু প্রশ্নের মুখে।

 

 

 

spot_img

Related articles

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...

বহুতল সমস্যা সমাধানে সর্বদা পাশে রাজ্য সরকার: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বহুতল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস পাশে থাকবে। আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

রাজ্যের শিক্ষক-কর্মীদের জন্য সুখবর: এবার মিলবে অতিরিক্ত ১০% মহার্ঘ ভাতা

স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল যে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক...

শিক্ষামন্ত্রী না থাকলে বিজয়ের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হত না: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির

রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা প্রমাণ...