Haryana: মহাপঞ্চায়েতের নামে গা জোয়ারি! পুলিশের সামনেই নেতাদের দেদার ঘৃ.ণাভাষণ

হরিয়ানার (Haryana) সাম্প্রদায়িক হিংসায় ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় দেশ। এরই মধ্যে আচমকাই মহাপঞ্চায়েতের (Mahapanchayat) ডাক দিয়েছে হিন্দু গোষ্ঠী। তবে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে আগেভাগেই নির্দেশ দেওয়া হয়, মহাপঞ্চায়েতের ভাষণে কোনওভাবেই যাতে ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) সামনে না আসে। আর সেখানেই বাঁধল বিপত্তি। মহাপঞ্চায়েতের ভাষণ চলাকালীন এই নির্দেশিকা কার্যত উড়িয়ে দিলেন নেতারা। জানা গিয়েছে, একাধিকবার তাঁদের ভাষণ চলাকালীন উঠে আসে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাঁরা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। ভাষণ চলাকালীন একাধিক নেতা এদিন আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন।

এদিন পুলিশের (Police) তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা থাকলেও কার্যক্ষেত্রে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। উল্টে মহাপঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন নেতার মুখে আপত্তিকর ভাষণ শোনা যায়। কেউ বলেন, আমাদের দিকে আঙুল তুললে তার হাত কেটে নেওয়া হবে। কেউ বা আবার প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দাবিও করেন। সূত্রের খবর, মহাপঞ্চায়েতের ভাষণ চলাকালীন এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু নেতাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

গত ৩১ জুলাই হরিয়ানার নুহ-তে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় ৬ জনের। তারপরেই কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হরিয়ানা। রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে মহাপঞ্চায়েতের ডাক দেয় সর্ব হিন্দু সমাজ নামে একটি সংগঠন। পাশাপাশি আগামী ২৮ আগস্ট একটি যাত্রারও ডাক দিয়েছে তারা। তবে পুলিশ সাফ জানিয়েছে, নুহ জেলার সীমান্তবর্তী পন্দ্রি গ্রামে ৫০০ জনের বেশি লোকের জমায়েত করা যাবে না। দুপুর দু’টোর মধ্যে শেষ করতে হবে সম্মেলন। পাশাপাশি হিংসা রুখতে অস্ত্র নিয়ে সম্মেলনে ঢোকার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনওভাবেই ঘৃণাভাষণ ছড়ানো যাবে না। যদি তার অন্যথা হয় সেক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

 

 

 

Previous articleমহাকাশ রেসে পিছিয়ে ভারত! চন্দ্রযানের আগেই ইতিহাস গড়বে লুনা ২৫
Next articleচেয়ার চান না নেত্রী, তবে দিদিকে প্রধানমন্ত্রী চায় কর্মীরা: ফিরহাদ, কুণাল