যাদবপুরে ছাত্র মৃ*ত্যুতে নয়া মোড়, ডায়েরির চিঠি নিয়ে বাড়ছে র*হস্য

যাঁরা সিসিটিভি লাগাতে দেননি তাঁদের সকলের হাতে ‘রক্তের দাগ’ লেগে রয়েছে বলেও দাবি তাঁর। অনন্যাদেবীর প্রশ্ন, “যাদবপুর কি অন্য কোনও গ্রহ? দেশের আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম আছে, এখানে তা মানা হবে না কেন?”

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং পড়ুয়াদের একাংশের ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস কিংবা হস্টেলে সিসিটিভি ফুটেজ নেই, তা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন। ‘হোক কলরব’ আন্দোলনের সময় গঠিত তদন্ত কমিটিও সিসিটিভি লাগানোর দাবি করলেও তা পূরণ হয়নি বলেও জানান তিনি। প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও চেষ্টা করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি লাগানোয় আপত্তি ওঠে।

যাঁরা সিসিটিভি লাগাতে দেননি তাঁদের সকলের হাতে ‘রক্তের দাগ’ লেগে রয়েছে বলেও দাবি তাঁর। অনন্যাদেবীর প্রশ্ন, “যাদবপুর কি অন্য কোনও গ্রহ? দেশের আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম আছে, এখানে তা মানা হবে না কেন?”

এরই পাশাপাশি, যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যুতে আরও ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য৷ মৃত ছাত্রের ডায়রির পাতায় মিলেছে একটি চিঠি৷ ডিন অফ স্টুডেন্টস-কে লেখা সেই চিঠি ঘিরেই নতুন করে জোরাল হচ্ছে ব়্যাগিং-তত্ত্ব৷ চিঠিতে ‘মানসিক চাপে’র উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।গত শনিবারই মৃত ছাত্রের একটি ডায়েরি হস্টেলের ঘর থেকে পান তদন্তকারীরা৷ সেই ডায়েরিতে লেখা চিঠি ঘিরেই এবার নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা৷ দেখা গিয়েছে, সেই চিঠির গোটাটাই টানা এক ভাবে লেখা হলেও তারিখের জায়গায় ডাবল রাইটিং পাওয়া গিয়েছে৷ তারিখের জায়গায় লেখা রয়েছে ১০ অগাস্ট৷ অভিযোগ, ৯ অগাস্টের উপরে নতুন করে ১০ আগস্ট করা হয়েছে সেখানে৷

কিন্তু, গত ৯ অগাস্টই যাদবপুরের মেন হস্টেলের নীচে নগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ওই ছাত্রকে৷ পরের দিন ভোরেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ এর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, যে ৯ অগাস্ট ঘটনা ঘটলে, চিঠির তারিখ কেন ১০ অগাস্ট করা হয়েছিল৷ তাহলে কি অভিযুক্ত ছাত্রেরাই তথ্যপ্রমাণ হেরফের করার চেষ্টা করেছিলেন? জানা গিয়েছে, চিঠিতে কয়েকজন সিনিয়রের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছিল৷ চিঠির বিষয়বস্তুতে অন্তত সেরকমই লেখা৷ চিঠিতে একজন সিনিয়রের নাম নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ সেই সিনিয়র নাকি হস্টেল নিয়ে ওই ছাত্রকে ভয় দেখাত৷সবমিলিয়ে ক্রমেই রহস্য বাড়ছে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায়।যদিও মৃত ছাত্রের বাবা দাবি করেছেন, ওই ডায়েরির হাতের লেখা তার ছেলের নয়।হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্ট দিয়ে লেখা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

 

 

 

 

Previous articleবাবার মৃতদেহ কাঁধে অঙ্কিতা লোখান্ডে, প্রথা ভেঙে নেটপাড়ায় ভাইরাল অভিনেত্রী!
Next articleকৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে বাংলাকে ‘নকল’ করার নির্দেশ কেন্দ্রের!